ভারতে ব্যাংক জালিয়াতি কোনো নতুন খবর নয়। একের পর এক ব্যাংক জালিয়াতি ঘটেই চলেছে। ব্যাংকের সুরক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। যার জন্য সাধারণ মানুষের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। তারা তাহলে টাকা কোথায় সুরক্ষিত রাখবে? তা নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে।
গতকাল সিবিআই প্রায় ৭,২০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতির তদন্তে নেমে দেশজুড়ে ১৮৭ টি স্থানে তদন্ত চালালো। কানাড়া ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক , আইডিবিআই ব্যাঙ্ক এইসব ব্যাংকগুলো রয়েছে ব্যাংক জালিয়াতির মধ্যে। এছাড়াও রয়েছে আরও কিছু ব্যাংক।
সিবিআই ব্যাংক জালিয়াতিতে ৪২ টি মামলা দায়ের করেছে। ব্যাংক জালিয়াতির অন্যতম উদাহণস্বরূপ রয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে নীরব মোদীর প্রায় ১৪,০০০ কোটির জালিয়াতি। এবার দায়ের হল ৭,২০০ কোটি টাকার মামলা। সিবিআই সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, প্রতারণার অঙ্ক হাজার কোটি টাকার বেশি ছাড়িয়েছে অন্ততপক্ষে চারটি ক্ষেত্রে। এছাড়া ১১ টি ক্ষেত্রে একশো থেকে হাজার কোটির মধ্যে।
এত ব্যাঙ্ক জালিয়াতি হওয়ার পর ব্যাংকের সুরক্ষা ব্যাবস্থার ত্রুটি সামনে এসেছে। এখন গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতেও ভয় পাচ্ছে। সিবিআইয়ের জানিয়েছে, ভুল তথ্য দিয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে মুম্বাই এর একটি ৬,০০০ কোটি টাকার ঋণ নেন। এরফলে স্টেট ব্যাংকের লোকসান হয় প্রায় ১,২৬৬ কোটি টাকা। এই ঘটনায় ব্যাংক আধিকারিকদের গাফিলতি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এই ঘটনায় ব্যাংক আধিকারিকরা জড়িত রয়েছে বলে সিবিআইয়ের অভিমত।