গতকাল কী ঘটেছিল নিজাম প্যালেসের বাইরে? দিল্লিতে ভিডিও ফুটেজসহ রিপোর্ট পাঠাচ্ছে CBI
রিপোর্ট যাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও প্রধানমন্ত্রী দপ্তরেও
গতকাল সকাল থেকে বঙ্গ রাজনীতিতে উথালপাথাল চলছে নারদ কান্ড নিয়ে। প্রতি মিনিটে খবরের শিরোনামে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। গতকাল সকালে ৪ নেতাকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাতেই ঘটে বিপত্তি। প্রিয় নেতাদের গ্রেপ্তারির খবর শুনে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা করোনার বাধা-নিষেধ ভেঙে সিবিআই দপ্তরের বাইরে জমায়েত করে। ঘটনাস্থলে নামে কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিক্ষুব্ধ জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং নিজাম প্যালেস চত্বর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই দপ্তরে ধর্নায় বসেছিলেন। এই সমস্ত ঘটনাক্রম সাজিয়ে নিয়ে সিবিআই বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাচ্ছে দিল্লিতে। এমনকি এই রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককেও পাঠানো হবে।
গতকাল নিজাম প্যালেস চত্বর সাধারণ মানুষের বিক্ষোভে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। হাজার হাজার তৃণমূল সমর্থক দপ্তরের বাইরে ভিড় করে। বিক্ষোভ চরমে উঠলে সিআরপিএফ উত্তেজিত জনতাকে হটাতে চায়। কিন্তু উল্টে উত্তেজিত জনতা সিআরপিএফ লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই সমস্ত ঘটনার বিবরণ গতকালই কলকাতা হাইকোর্টকে দিয়েছিল সিবিআই। তাই তারা কলকাতা হাইকোর্টকে অনুরোধ জানিয়েছে যে তারা তদন্ত করতে নামলে প্রতিবার বাধার সম্মুখীন হয়। তাই এই নারদ কান্ডের মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হোক।
কলকাতা হাইকোর্টের পাশাপাশি সিবিআই তাদের দপ্তরে বাইরে উত্তেজিত জনতার বিশৃঙ্খলতা বা পাথর ছোঁড়ার ছবি বা মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না সম্বন্ধে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট বানিয়ে দিল্লি সিবিআইএর কাছে পাঠিয়েছে। তারা তাদের রিপোর্ট এর সাথে বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ দেখিয়েছে যাতে তাদের দাবি আরও মজবুত করা যায়। এই রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, প্রধানমন্ত্রী দপ্তর এবং রাষ্ট্রপতি দপ্তরে। সিবিআইএর পাশাপাশি সিআরপিএফ ঘটনা রিপোর্ট পাঠিয়েছে দিল্লিতে। তাদের অভিযোগ যে তাদের দিকে ইট-পাটকেল ছাড়াও জুতো ছুঁড়ে মারা হয়।