নয়াদিল্লি: সারদাকাণ্ডে প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সিবিআই। তদন্তকারী গোয়ন্দা সংস্থার দাবি, রাজীব কুমার তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবরের ১ তারিখ কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন রাজীব কুমার।
সারদা কাণ্ডে ক্রমশ জাল গোটাচ্ছে সিবিআই। এমনিতে আইপিএস বদলি বিতর্কে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাাত তুঙ্গে। রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া যথেস্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। সারদা তদন্তে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রাজীব কুমারের বাড়ি আসে সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু সেখানে তদন্তকারীরা আসতেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়। কলকাতা পুলিশ আটকে দেয় সিবিআই আধিকারিককে। এর পরেই নজিরবিহীন ভাবে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্না শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতি এবং কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের জব্দ করার চেষ্টার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসেন তিনি। এরপরেই সেখানে হাজির ছিলেন রাজীব কুমার-সহ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরাও। যদিও পরে শিলংয়ে রাজীব কুমারকে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এখন ফের এই মামলায় রাজীবকে গ্রেফতার করতে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ সিবিআই। তাদের অভিযোগ, তদন্তে ফের অসহযোগিতা করছেন প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার।
আর মাত্র কয়েকমাস পরেই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সারদা নিয়ে ফের তরজা জড়িয়েছে তৃণমূল -বিজেপি দুপক্ষই। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন কুণাল ঘোষও। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে তোপও দেগেছিলেন তিনি। যদিও এর পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। নভেম্বর মাসে তিনি টুইটে লেখেন, কুণাল ঘোষ, দুর্নীতিতে কলঙ্কিত তৃণমূলের মুখপাত্র, যাঁকে ভাইপোকে বাঁচানোর জন্য নামানো হয়েছে। ২০১৪ সালে কুণাল বলেছিলেন, যদি সারদা মিডিয়া থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সবথেকে বেশি কেউ সুবিধা নিয়ে থাকেন, তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও লিখেছেন, পিসি এই অভিযোগ সত্যি না মিথ্যা, তা স্পষ্ট করতে পারেন।