দেশে একাধিক জায়গায় নতুন কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চরম ব্যাকফুটে। দিল্লিতে কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ থেকে শুরু করে বিদেশের মাটিতে একের পর অপমান, সবার কেন্দ্রবিন্দুতে সেই একটাই জিনিস – কৃষি আইন। আর এই কৃষি আইন জারি করেই বিপাকে কেন্দ্রীয় সরকার। পাঞ্জাবের পুরনির্বাচনে ভরাডুবির পর দিল্লির উপনির্বাচনে আবার ভরাডুবি। দিল্লির নির্বাচনে এবারে খাতাই খুলতে পারেনি গেরুয়া শিবির।
তারই মধ্যে এবারে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন আগামী ২৭ মার্চ থেকে হচ্ছে শুরু। এই রাজ্যে কৃষি আইনের খুব বেশি প্রভাব না পড়লেও এই আইনকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে ঠুকতে ছাড়েনি কোনো রাজনৈতিক দল। তাই এবারে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে নিজেদের ভাবমূর্তিকে স্বচ্ছ করে তুলে ধরতে আবারো কল্পতরু ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন মোদী অমিত শাহরা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী আর কিছুদিনের মধ্যে পাটের সহায়ক মূল্য বাড়িয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। খুব শীঘ্রই এই নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা যাচ্ছে। এবার পাটের সহায়ক মূল্য বাড়তে চলেছে ৬ থেকে ৭ শতাংশ হারে। গোটা দেশের জন্যই এই সিদ্ধান্ত, কিন্তু রাজনৈতিক মহলের ধারণা ভোটের আগে বাংলার মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্যই এই সিদ্ধান্ত।
পরিসংখ্যান বলছে, গোটা দেশে আছে ৭০টি জুটমিল কিন্তু তার মধ্যেই ৬০টি আছে এই রাজ্যে। দেশের প্রায় ৪ লক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ৫০% এই রাজ্যে। ২০১৯ সালে ছিল লোকসভা নির্বাচন। তার আগে পাটের প্রতি কুইন্টাল পিছু দাম করে দেওয়া হয়েছিল ৩৭০০ থেকে ৩৯৫০ টাকা। আর এবারে ২০২১ এর বাংলার নির্বাচন। আর এবারে প্রথমবার বাংলার গদিতে বসতে পারেন মোদির সেনাপতি। তাই বাংলার ভাবাবেগ রবীন্দ্রনাথ, নেতাজির পরে এবারে বাংলার পাট শিল্পকে তুলে ধরে নির্বাচনী বৈতরুনী পর করতে মরিয়া গেরুয়া বাহিনী।