নতুন সরকার গঠনের পরে এবারে নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের জন্য কোষাগরের ব্যবসা খুলতে পারেন নতুন করে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই একটা আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী কৃষাণ সম্মান নিধি যোজনার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের একাউন্টে ২০০০ টাকার একটি কিস্তি স্থানান্তর করতে চলেছে। এর ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষদের অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে খুব শীঘ্রই। সরকার এখনো পর্যন্ত এই প্রকল্পের সাথে যুক্ত লোকেদের একাউন্টে ২০০০ টাকার ১৬টি কিস্তি স্থানান্তর করে দিয়েছে। এবারে ১৭তম কিস্তির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন সকলে। সরকার জুন মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে এই কিস্তির টাকা পাঠিয়ে দিতে চলেছে এবং এটা হবে সবার জন্য একটা গোল্ডেন অফার। সরকার এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও গণমাধ্যমে এই ব্যাপারে দাবী করা হচ্ছে জোর কদমে। কিস্তির টাকা পেতে হলে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ আগে থেকে করে ফেলতে হবে।
আপনি যদি কিস্তির টাকা পেতে চান তাহলে কৃষকদের প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করা থাকলে আপনার আর কোন সমস্যা হবে না। এর জন্য আপনাকে প্রধানমন্ত্রী কিষানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপরে ডান পাশে কৃষক কর্নারে ক্লিক করতে হবে এবং সেখানে আপনাকে নিজেকে রেজিস্টার করতে হবে। আপনি যদি নিজেকে রেজিস্টার না করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার সমস্যা হয়ে যাবে। রেজিস্ট্রেশন করানোর জন্য আপনাকে আধার কার্ড ব্যাংকের পাসবুক, জমির কাগজপত্র এবং ঠিকানা সম্পর্কে সমস্ত তথ্য দিতে হবে।
যারা এখনো পর্যন্ত কেওয়াইসি করেননি এবং জমি যাচাই করেননি তারা কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কিষানের কোন সুবিধা পাবেন না। শুধু তাই নয় পরিবারের একজন সদস্যকে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়। পিতা বা পুত্র উভয় কিন্তু এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। তারপর পরিবারের কোনো সদস্যের যদি সরকারি চাকরি থাকে তাহলেও কিন্তু এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে না। এই পরিবারের কোনো সদস্য যদি কোন পেশায় যুক্ত থাকেন যেমন আইনজীবী ডাক্তার অধ্যাপক ইত্যাদি, তাহলেও কিন্তু এই প্রকল্পের জন্য সেই পরিবার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। এর পাশাপাশি যে সমস্ত কৃষক অন্যের জমিতে চাষ করেন তারাও এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন না। আপনাদের জানিয়ে রাখি, প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি এমন একটি প্রকল্প যার মাধ্যমে কৃষকরা ফসলের জন্য সার ও বীজ কিনতে পারবেন।