টিকা নেওয়ার সময়সীমায় নতুন নিয়ম জারি কেন্দ্রের! দেশজুড়ে বিতর্ক তুঙ্গে
কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে
করোনা সংক্রমণে নাজেহাল অবস্থা গোটা দেশের। তাই এখন দেশজুড়ে চলছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। এখন দেশে মোট ৩ টি টিকা চলছে। DCGI এখনও অব্দি তিনটি ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র দিয়েছে। সেগুলি হল কোভিশিল্ড, কো ভ্যাক্সিন ও স্পুটনিক ভি। তবে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি এখনও অব্দি এসে পৌঁছায়নি। দেশের এখন বেশিরভাগ হাসপাতালে কোভিশিল্ড টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই টিকার ক্ষেত্রে প্রথম ডোজ নেওয়ার কিছুদিন পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। তবে এর মাঝে কেন্দ্র সরকার এই ডোজ নেওয়ার বিষয়ে নতুন নিয়ম জারি করেছে। তারা গতকাল বৈঠকের পর জানিয়েছে, কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।
এতদিন ধরে কোভিশিল্ড টিকার দুটি ডোজের মধ্যে অন্তর রাখা হচ্ছিল ২৮ দিন। তবে গতকাল বৈঠকের পর কেন্দ্র সরকার এই ব্যবধান বাড়িয়ে দিয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্র রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে চিঠি পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে যে এখন দুটি ডোজ নেওয়ার ব্যবধান ৬-৮ সপ্তাহ আগের তুলনায় বৃদ্ধি করা হলো। হিসাব মত প্রথম ডোজ নেওয়ার মোট ১২-১৬ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। এই প্রস্তাব ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে তার ন্যাশনাল এক্সপার্ট ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে।
তবে ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের দুটো ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোয় বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তিনি বলেছেন, “এতদিন ধরে এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হতো। হঠাৎ করে ১২-১৬ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হল। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট কি সময়ের মধ্যে পর্যাপ্ত টিকা তৈরি করতে পারছে না বলে এই সিদ্ধান্ত?”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গোটা দেশজুড়ে তৃতীয় পর্যায় ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে বিভিন্ন রাজ্যে পর্যাপ্ত টিকা নেই। তাই ১৮-৪৪ বছরের বয়স্কদের জন্য এখনও অনেক রাজ্যে টিকা দেওয়া হচ্ছে না। তাই অনেকে মনে করেছে টিকার যোগান পর্যাপ্ত করার জন্য এবং বেশি পরিমাণ মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য হয়তো কেন্দ্র সরকার দ্বিতীয় ডোজের সময়সীমা অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছে। আবার একজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে ভ্যাকসিনের দুই ডোজের মধ্যে সময়সীমা বাড়ালে তার কার্যকারিতা বেশি দেখা যাচ্ছে।