আগামী মাসে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের নতুন করে সুখবর দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বছর দ্বিতীয় বারের মতো সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করার ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে। ইতিমধ্যেই, মূল্যস্ফীতি পরিসংখ্যানের পরিপ্রেক্ষিতে যে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি পাবে সেটা আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। যারা যাচ্ছে এবারে এক ধাক্কায় সর্বাধিক পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি হতে পারে মহার্ঘ ভাতা। এছাড়া সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দিয়ে দিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা ১৮ মাসের জন্য আটকে রাখা হয়েছিল। কর্মচারীরা এতদিন ক্রমাগত তাদের বকেয়া পরিষদের দাবি করছেন।
কর্মচারীরা ক্রমাগত ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা দাবি করছেন। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় কর্মীদের একাউন্টে এককভাবে ১.৫ লক্ষ টাকা পৌঁছে দিতে পারে ভারত সরকার। তবে এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে কোন খবর পাওয়া যায়নি এই বিষয়ে। ২০২১ থেকে এখনো পর্যন্ত সরকার ১১ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়ে ফেলেছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি পেয়েছিল ৩ শতাংশ। বর্তমানে কর্মচারীদের মূল বেতনের ৩৪% মহার্ঘ ভাতা পাওয়া যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রে বলা হচ্ছে, সরকার যদি বকেয়া মহার্ঘ ভাতা আগামী মাসে পরিশোধ করে তাহলে বর্ধিত ১১ শতাংশ ভাতা যোগ করে তাদের একাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হবে। এখন যদি ১৮ মাসের বকেয়া নিয়ে কথা হয় তাহলে এককভাবে ১১% বকেয়া দেওয়া হবে। কর্মচারীরা তাদের বেতন পরিকাঠামো অনুযায়ী বকেয়া পেয়ে যাবেন।
সরকার জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান মাথায় রেখে ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করেছিল। এতে লাভবান হয়েছিলেন ৫০ লক্ষ কর্মচারী এবং ৬৫ লক্ষ পেনশনভোগী। কর্মচারীরা প্রাপ্ত মহার্ঘ ভাতা তাদের বেতন কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সরকার মুদ্রাস্ফীতি অনুযায়ী এমন ভাবে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করে, যাতে কর্মচারীদের জীবন যাত্রার মান কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। শোনা যাচ্ছে, এবারে আরো ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে মহার্ঘ ভাতা। এই অনুমান অনুসারে যদি একজন কর্মচারীর মূল বেতন ১৮০০০ টাকা হয় তাহলে ৩৪ শতাংশ হারে তার মহার্ঘ ভাতা ৬১২০ টাকা। এখন যদি তা ৩৮ শতাংশ করে দেওয়া হয়, তাহলে এই মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ ৬৮৪০ টাকা হয়ে যাবে। অর্থাৎ সারা বছরে বার্ষিক ৮৬৪০ টাকা বেশি বেতন পাওয়া যাবে।