এই মুদ্রাস্ফীতির সময়ে দেশবাসীর জন্য সুখবর রয়েছে। বস্তুত, কেন্দ্রীয় সরকার ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হ্রাসকৃত আমদানি শুল্কর মেয়াদ ২০২৪ থেকে বাড়িয়ে ২০২৫ সাল পর্যন্ত করে দিয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশা করা যায়। যার ফলে সাধারণ মানুষের বাজেট ভোজ্য তেলের দামের জন্য প্রভাবিত হবে না।
অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, পরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং পরিশোধিত সানফ্লাওয়ার ওয়েলের উপর মৌলিক আমদানি শুল্ক ১৭.৫% থেকে কমিয়ে ১২.৫% করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই হার প্রযোজ্য হবে।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোজ্য তেল ভোক্তা। একই সঙ্গে ভোজ্য তেল আমদানিতেও ভারত বিশ্বের এক নম্বর স্থানে রয়েছে। দেশের মোট ভোজ্য তেলের চাহিদার ৬০ শতাংশ আমদানি করে ভারত। পাম অয়েলের একটি বড় অংশ ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। ভারত সরিষার তেল, সয়াবিন এবং সূর্যমুখী তেলের বৃহত্তম ভোক্তা।
নভেম্বরে খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৮ দশমিক ৭০ শতাংশে। অক্টোবরে তা ছিল ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ। সরকার এই বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন। ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার সব পরিস্থিতিতেই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সাধারণ নাগরিকদের বাজেট নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে। ভোটের আগে কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্ত যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ভোটের আগে সরকার আরও কিছু জন হিতকর সিদ্ধান্ত সরকার নিতে পারে বলে অনেকে আশা করতে শুরু করেছেন।