পেট্রোল-ডিজেলের ক্রমবর্ধমান মূল্যে নিরিখে মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তদের। করোনা ভাইরাস পরবর্তী সময় মানুষের আয়ের তুলনায় ব্যয়ের অঙ্ক লাফিয়ে বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পেট্রোলের দাম ১০০ টাকার কাছাকাছি। অন্যদিকে ডিজেলের দামও প্রায় একই বলা যেতে পারে। পেট্রোল ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিতে সমানভাবে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। সাধারণ জীবন যাপন করতে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তদের। অন্যদিকে গোটা দেশে ৫ রাজ্যে ভোট একদম দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে।
এবার ক্রমবর্ধমান পেট্রোল-ডিজেলের দামে লাগাম টানতে ও সাধারণ মানুষের ক্ষোভকে প্রশমিত করতে কেন্দ্র সরকার ঘোষণা করেছে যে তারা পেট্রোপণ্যের দাম এর উপর এক্সাইজ ডিউটি বা করের বোঝা কিছুটা কমিয়ে দেবে। আসলে করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক এর পর দেশের অর্থনীতি একেবারে ভেঙে পড়েছিল। অর্থনীতিকে চলমান করতে মোদি সরকার পেট্রোপণ্যের উপর করের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। আর তার জেরে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছিল পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। তবে তেলের জন্য রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা তুলে দেওয়ায় এবার থেকে কমে যাবে পেট্রোল-ডিজেলের দাম।
বর্তমানে দেশের প্রায় সমস্ত শহরেই পেট্রোলের দাম ৯০-১০০ টাকার মাঝামাঝি। সরকার পেট্রোপণ্যের উপর এক্সাইজ ডিউটি কমিয়ে দিলে সেই দাম কিছুটা হলেও কমবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন প্রতি লিটার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ৮.৫ টাকা করে হ্রাস পেতে পারে। প্রসঙ্গত গতবছরের মার্চ মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে পেট্রলে ১৩ টাকা ও ডিজেলে ১৬ টাকা প্রতি লিটারে এক্সাইজ ডিউটি বেড়ে গেছিলো।