নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতির জন্য দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। যদিও করোনার আগেও খুব একটা অর্থনৈতিক কাঠামো ঊর্ধ্বমুখী ছিল না। বরং নিম্নমুখীই ছিল। তবুও অর্থনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়ার ক্ষেত্রে করোনাকেই কারণ হিসেবে তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও ‘আনলক ফাইভ’ চলছে। নিউ নর্ম্যাল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে মানুষ স্বাভাবিক ছন্দে ফেরা চেষ্টা করছে। যদিও দেশের বেশিরভাগ মানুষ আজ কর্মহীন। অর্থের যোগান নেই। তাই উৎসব মরশুমে সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর আনল কেন্দ্রীয় সরকার।
আজ, সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘বাজারে চাহিদার যোগান বাড়াতে হবে। এই চাহিদার যোগান এখন কম হচ্ছে। কারণ, মানুষের কাছে নগদ টাকা নেই। আর তাই সরকারি কর্মচারীদের কাছে নগদ টাকা যাতে থাকে, সেই জন্য দুটি স্কিম আমরা আনতে চলেছি। একটি হল LTC cash voucher Scheme। আর অন্যটি হল special festival advance scheme। সরকারি কর্মচারীদের হাতে নগদ টাকা থাকলে বাজারে চাহিদা তৈরি হবে। এর ফলে দেশের অর্থনীতি এবং ডিজিপি বৃদ্ধি পাবে।’
এর পাশাপাশি এদিন তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে যোগান আগের থেকে বেড়েছে। দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার ফলে দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তবে এখন কনজিউমার ডিমান্ড বাড়ানোর প্রয়োজন আছে। তাই আমরা বাজারে চাহিদা বাড়ানোর ক্ষেত্রে নজর দিয়েছি। দেশে নগদের চাহিদা বাড়ানোই এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ আর তাই কেন্দ্রীয় সরকার সরকারি কর্মচারীদের জন্য এই নতুন স্কিম আনতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই স্কিম ভবিষ্যতে কতটা ফলপ্রসূ হয়, এখন সেটাই দেখার।