১৩০ কোটি মানুষের করোনার ভ্যাকসিন মজুত করতে হিমঘর তৈরির ভাবনা কেন্দ্রের
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ২০২১ এর শুরুর দিকের করোনা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা প্রমাণ হয়ে যাবে। সর্ব সাধারণের ব্যবহারের জন্য বাজারে এসে যাবে করোনার ভ্যাকসিন। কিন্তু বিপুল পরিমাণ এই ভ্যাকসিন মজুত করার জন্য প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা করা দরকার।
দেশ জুড়ে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। করোনার ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালও শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সিরাম ইনস্টিটিউট, ভারত বায়োটেকের, জাইডাস ক্যাডিলারের মতো একাধিক ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরির দিকে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছে ইতিমধ্যেই। ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই। এই অবস্থায় করোনা ভ্যাকসিন মজুতের জন্য প্রয়োজনীয় হিমঘর প্রস্তুতির পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ২০২১ এর শুরুর দিকের করোনা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা প্রমাণ হয়ে যাবে। সর্ব সাধারণের ব্যবহারের জন্য বাজারে এসে যাবে করোনার ভ্যাকসিন। কিন্তু বিপুল পরিমাণ এই ভ্যাকসিন মজুত করার জন্য প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা করা দরকার। সেই কথা ভেবেই হিমঘর তৈরির পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। ভ্যাকসিন বাজারে আসার আগে ভ্যাকসিনের সুষম বন্টন, চাহিদা অনুযায়ী যোগান দেওয়ার পরিকাঠামো তৈরি করা জরুরি। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের দুটি বৈঠক হয়ে গিয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে এই বিষয়ে আরও কয়েকটি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এই মুহূর্তে বিশ্বে নয়টি ভ্যাকসিনের উপরে নজর রাখা হচ্ছে। তার মধ্যে দুটি চীনা ভ্যাকসিনও আছে। নজর রাখছে কেন্দ্রের বিশেষ কমিটি। সরকারি সূত্রের খবর, ভ্যাকসিন বাজারে এলে তা উত্তর পূর্বের প্রত্যন্ত গ্রামে গুলিতে পৌঁছানোই মূল চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে। সেই জন্যই আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে কেন্দ্র।