বর্তমানে আমাদের করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই চলছে একেবারে জোর কদমে। কিন্তু অনেক জায়গায় করোনাভাইরাস এর রিপোর্ট না থাকার কারণে রোগী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে চিকিৎসার ক্ষেত্রে। এবারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সংশোধিত নির্দেশিকা নিয়ে আসা হয়েছে। জানানো হয়েছে যদি কোন রোগীর কাছে করোনাভাইরাস এর রিপোর্ট নাও থাকে তাহলেও তাকে হাসপাতালে ভর্তি নিতে হবে এবং তার চিকিৎসা করতে হবে।
এছাড়াও যারা সন্দেহজনক রোগী রয়েছেন তাদের আলাদা ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। জানানো হয়েছে, যদি এক শহরে রোগী অন্য শহরে গিয়ে ভর্তি হতে চায় তাহলেও কিন্তু তাকে ফেরানো যাবে না সেখানে ভর্তি নিতে হবে। তার সাথে সাথেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালেগুলিকে করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এছাড়াও বেশ কিছু জিনিস নতুন করে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি। চলুন তালিকাটা একবার ভালো করে দেখেনিই।
১) সন্দেহজনক রোগীদের চিকিৎসার জন্য আলাদা ওয়ার্ড তৈরি করতে হবে প্রত্যেকটি হাসপাতালে।
২) করোনাভাইরাস সন্দেহ নিয়ে যদি কোন রোগী ভর্তি হতে আসে তাহলে তাকে ফেরানো যাবে না।
৩) অন্য শহরের বাসিন্দা যদি ভর্তি হতে আসে তাহলে তাকে ফেরানো যাবে না।
৪) শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্ধারিত সময় নির্ধারিত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চালাতে হবে।
৫) বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রাজ্যে করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারতবর্ষের করোনা পরিস্থিতি একেবারেই ভালো নয়। গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে করণা আক্রান্ত হয়েছে ৪ লক্ষ ১ হাজার ৭৮ জন। অন্যদিকে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১৮৭ জনের। দ্বিতীয় ঢেউ ক্রমাগত বড় আকার ধারণ করছে ভারতবর্ষে।ভারত সরকার এবং রাজ্য সরকার একসাথে ভালো ভাবে কাজ না করে তাহলে কিন্তু পরিস্থিতি সামলানো একটু সমস্যা হয়ে যাবে। তার পাশাপাশি রাজ্যের মানুষদেরকেও সমস্ত ধরনের বিধি-নিষেধ মানতে হবে যাতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে পারি আমরা।