নয়াদিল্লি: নেপালে (Nepal) কোভিশিল্ড (Kovishield) টীকাকরণের অনুমতি দিল কেন্দ্র (Central Govt)। প্রতিবেশীর সাথে শক্ত হল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। কিছুদিন আগেই ভারতে (India) অনুমোদন পেয়েছে করোনার জোড়া ভ্যাকসিন সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন (Covaxin)। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া শুরু হয়ে গেছে। তবে ভারত যে শুধু দেশে নয় বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হবে বলেও শোনা যাচ্ছিলো। সেই মত প্রতিবেশী নেপালের সাথে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল ভারতের। সূত্রের খবর, দীর্ঘ আলোচনার পর ভারতে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ডের টিকা তথা কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনে অনুমোদন দিয়েছে কেপি ওলি সরকার।
সিরাম জানিয়েছে, কোভিশিল্ড টিকার মোট ১০০ কোটি ডোজ তৈরি হবে। তার মধ্যে প্রথম পাঁচ কোটি ডোজ ভারতের জন্যই বরাদ্দ থাকবে। মার্চ-এপ্রিলের পর থেকে টিকার রফতানি শুরু হবে। নেপাল জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণ শুরু করতে চাইলে তার আগেই কোভিশিল্ড টিকা পাঠানো হবে কিনা, সে ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অন্যদিকে নেপালে সিনোভ্যাক টিকা বিক্রি করতে দীর্ঘদিন ধরেই আগ্রহী চিন। কিন্তু নেপাল সাফ জানিয়ে দিয়েছে, চিনের টিকায় কোনও ভরসা নেই তাদের।
এদিকে আবার চিনের কয়েকজন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ খবর সামনে এনেছিলেন যে সিনোভ্যাক টিকায় জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার শঙ্কা খুবই বেশি। এই টিকা ৫০ শতাংশের বেশি কার্যকরী নয়। গত বছর নভেম্বর থেকেই সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছিল নেপালে। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গেও সরকারের ঝগড়া শুরু হয়েছিল। তার ওপরে পদত্যাগ করেছিলেন মন্ত্রিসভার সাতজন সদস্য। এই পরিস্থিতিতে সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ভেঙে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। তবে এসবের মধ্যেই কথা চলছিল ভ্যাকসিন নিয়ে। খন টিকা সংক্রান্ত ব্যাপারে দুই দেশের চুক্তি পাকাপোক্ত হতে চলেছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, ভারতের থেকে ১ কোটি ২০ লক্ষ টিকার ডোজ কিনতে আগ্রহী নেপাল। দেশের ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থাগুলির সঙ্গে কথাবার্তাও হয়েছে। ভারতে নেপালের রাষ্ট্রদূত নীলাম্বর আচার্য জানিয়েছেন, সেরাম ও ভারত বায়োটেক দুই কোম্পানিই তাদের তৈরি টিকার বিপুল উত্পাদন করবে। এই দুই টিকার ডোজ কিনতেই আগ্রহী নেপাল। কিছুদিন আগেই সীমান্ত নিয়ে ঝামেলা হওয়া দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যে এর ফলে উন্নত হবে তা বলাই বাহুল্য।