একা ঘূর্ণিঝড়ে রক্ষে নেই সঙ্গে প্লাবন দোসর। কিছুটা এইরকমই এখন অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের। ঘূর্ণিঝড়ের পরে এবারে রাজ্যের নদী তীরবর্তী এলাকায় ভরা কোটালে প্লাবনের আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেন, “বুধবার রাতে ৮:৩৫ এ প্লাবনের সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলবর্তী এলাকায়। যারা যারা ত্রাণশিবিরে রয়েছেন তারা এখনই বাড়ি ফিরবার কোন চেষ্টা করবেন না। নদীর কাছাকাছি যে সমস্ত এলাকা আছে সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হবে। সাধারণ মানুষকে বলা হচ্ছে, যাতে বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখেন তারা। আমিও আমার বাড়িতে তাই করেছি। গঙ্গার আশেপাশের এলাকায় সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।”
শুধু বুধবার না, মমতার আশংকা বৃস্পতিবার আরো বড় বান আসতে চলেছে সমুদ্রে। সঙ্গে রয়েছে অঝোরে বৃষ্টির পূর্বাভাস। যার দরুন সমুদ্রের জলতল অনেকখানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যারা বর্তমানে ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন তাদের সকলের কাছে মমতার আবেদন যেন তারা কোনোভাবেই বাড়ি ফেরার চেষ্টা না করেন। এছাড়াও আশে পাশের বাড়িতে যদি জল ঢুকে পড়ে তাহলে কাছাকাছি কোন ক্লাব এবং আশ্রয়স্থলে যেন আশ্রয় গ্রহণ করা হয়, সেই আবেদনও রেখেছেন মমতা।
সঙ্গেই এই প্লাবনের মোকাবিলা করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গেই, তিনি সিইএসসিকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন কোনভাবেই কোথাও বিদ্যুতের তার এদিক-ওদিক খোলা না পড়ে থাকে। বিদ্যুৎ সরবরাহ যেন বন্ধ রাখা হয় এবং জলমগ্ন এলাকা যেন কোনোভাবেই বিপদের কারণ না হয়ে ওঠে তার জন্য রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এবং সিইএসসিকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যে ১ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ১৩৪টি নদী বাঁধ ধ্বংস হয়েছে। এছাড়াও কৃষিজমিতে নোনা জল ঢুকে যাওয়ার ফলে জমি নষ্ট হয়েছে। মমতার আশঙ্কা, এই বছর এই কৃষিজমিতে ফসলের ক্ষতি হবে। এছাড়াও, সকলকে আবারো সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন বুধবার এবং বৃহস্পতিবার প্লাবনের আশঙ্কা আছে, তাই আমাদের সাবধান থাকতে হবে এই দুদিন। সূত্রের খবর, আগামী শুক্রবার প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যেতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।