২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে এবারে নিজেদের সংগঠনকে একেবারে ঢেলে সাজানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর অনুযায়ী আগামী দু-একদিনের মধ্য তৃণমূল শিবিরে একাধিক বড়সড় রদবদল হতে চলেছে। এবারের মেইন টার্গেট থাকবে যুব ভোট। তৃণমূল কংগ্রেস আগামী লোকসভা নির্বাচনের জন্য তাকিয়ে রসে সরাসরি যুব শক্তির দিকে। আর সেই দিকে খেয়াল রেখে দলের মূল সংগঠন এবং যুব সংগঠনের একাধিক পরিবর্তন আনতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক সাংগঠনিক পদে ব্যক্তি থাকতে পারেন এই নতুন সংগঠনে।
এছাড়াও, দলে এক ব্যক্তি এক পথ নীতি কার্যকর করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ একজন কেবলমাত্র একটি পদে থাকতে পারবে, একাধিক পদে না। যদি সেরকম হয় তাহলে জেলা এবং ক্যাবিনেটে একাধিক পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া এবং পূর্ব বর্ধমান জেলায় তার ফলে নতুন সমীকরণ গঠন করতে হবে তৃণমূলকে। এই চারটি জেলায় সভাপতি এবং সদস্য বদল হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এই চারটি জেলায় পাঁচজন সভাপতি রয়েছেন যারা রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য।
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি। এর আগে তিনি দীর্ঘদিন খাদ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। বর্তমানে তিনি বনদপ্তরে রয়েছেন। এছাড়া আছেন হাওড়া জেলা গ্রামীণ এবং শহর দুই সভাপতি। হাওড়া জেলা শহর অঞ্চলের দায়িত্বে রয়েছেন অরূপ রায় যিনি এবারের নির্বাচনে রাজ্য মন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে আছেন হাওড়া জেলা গ্রামীণ অংশে দায়িত্বে পুলক রায় তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য। মনে করা হচ্ছে এই দুটি জেলায় সভাপতি বদল হতে চলেছে।
এছাড়া পূর্ব বর্ধমান জেলায় হতে চলেছে আরও একটি রদবদল। পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ। একদিকে যেমন তিনি পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি তেমনি তিনি একজন মন্ত্রী। যদি এক ব্যক্তি একপদ নীতি চালু হয় তাহলে তাকে যেকোনো একটি পথ বেছে নিতে হবে। সম্ভবত তিনি মন্ত্রীত্বে থাকতে পারেন, সেরকম হলে পূর্ব বর্ধমানের নতুন একজন জেলা সভাপতি নির্বাচিত হবেন।
তার পাশাপাশি বদল হতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এই জেলায় অধিকারী পরিবারের রাজত্ব কার্যত ধ্বংস করে দিয়ে জেলা সামলানোর দায়িত্ব পেয়েছেন সৌমেন মহাপাত্র। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অধিকারীদের প্রভাব বেশি থাকা সত্ত্বেও তিনি নিজে জয়লাভ করেছেন এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বেশ কিছু আসন তিনি বের করে আনতে পেরেছেন।বর্তমানে তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন। কিন্তু এই নীতি চালু করা হলে তাকে কোন একটি দায়িত্ব বেছে নিতে হবে। সম্ভাবনা আছে তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য হয়ে থাকতে চাইছেন।