বাংলায় ইতিমধ্যেই প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে মৌসুমী বায়ু। এই মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে প্রায় প্রত্যেক দিন কলকাতায় এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। তার সাথে সাথে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিন্তু খুব একটা কম নয়। রবিবারও পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হবে না বলে জানা যাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে। এই রবিবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে বজ্রপাতসহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে কলকাতায় রবিবার বৃষ্টি পরিমাণটা একটু কম। কিন্তু এখনই পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না বলে জানা যাচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশ থেকে বিহার পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিস্তৃত আছে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের ওপর একটি ঘূর্ণাবর্ত চলছে। এই কারণে বিপুল পরিমাণ জলীয়বাষ্প পশ্চিমবঙ্গের ঢুকছে বঙ্গোপসাগর থেকে।
তবে শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা দার্জিলিং জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগণা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তরবঙ্গের কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। তবে কলকাতায় এবারে বৃষ্টির পরিমাণ একটু কম হবে। এই মরশুমে বাংলায় স্বাভাবিকের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
অন্যদিকে রবিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৯৮ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৭ মিলিমিটার। কিন্তু অতিরিক্ত জল ছাড়ার কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত জলের তলায় চলে গিয়েছে। বিগত কয়েকদিনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অনেকেই মারা গিয়েছেন। আবহাওয়া দপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে আর কিছুদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত কমবে। তাই কিছুটা হলেও এবারে স্বস্তিতে নিচু এলাকার বাসিন্দারা।