গত পঞ্চায়েত ভোট থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পালে হাওয়া বইতে শুরু করে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে এসে তা আরও জোরালো হয়। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত বিধানসভার নির্বাচনে পাল্টে যায় পাশা। স্রোতের বিপরীতে তিন শূন্য ব্যবধানে বিজেপিকে কার্যত উড়িয়ে দেয় তৃণমূল। কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুর সদরের মতো নিশ্চিত আসনও হাতছাড়া হয় বিজেপির। আর এরপরই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে স্বয়ং অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের তলব করেন। জানতে চান হারের কারণ। বুথভিত্তিক ফল পর্যালোচনার কথা জানান তিনি।
এর মধ্যে রাজ্যের বিজেপি নেতারা মুখ খুলে এনআরসি-কেই মূলত হারের কারন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা চন্দ্র কুমার বসু মনে করেন, ‘উপনির্বাচনে বিজেপির হারের অন্যতম কারণ এনআরসি আতঙ্ক।’ বাংলায় রাজনীতি করা এত সহজ নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের মতো বৈচিত্র্যময় দেশে সব জায়গায় একই কৌশলে ভোটে জেতা সম্ভব নয়। বাংলার মতো রাজ্যে একক ভাবে রাজনীতি করা যায় না।’ সংগঠন না বাড়ালে বিজেপির বাংলা জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।