প্রতিটি পড়ুয়ার জীবনে প্রথম সরকারি ভিত্তিক পরীক্ষা হল মাধ্যমিক। যাকে এক কথায় বলা যেতে পারে জীবনযুদ্ধের প্রথম ধাপ। শিক্ষাকে ক্রমশ যুগোপযোগী করার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠ্যক্রমে প্রতিবার আনা হয়েছে পরিবর্তন। মাধ্যমিকে নতুন পাঠ্যক্রম চালু হয় ২০১৫।কিন্তু এবারে পাঠ্যক্রম নয়, বদল আসতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষার পাশের নিয়মে।
পুরোনো পাঠ্যক্রম অনুযায়ী আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রতিটি বিষয়ে পাশ নম্বর তুলতে হত। ৭ টি বিষয়ে ২৫ নম্বর পাওয়া ছিল পরীক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক আর এর ভিত্তিতে তৈরী হতো রেজাল্ট।কিন্তু সম্প্রতি সিলেবাস কমিটির পক্ষ থেকে স্কুল শিক্ষা দপ্তরে প্রস্তাব দেওয়া হয় যে, এবার থেকে ৭০০ এর বদলে ৫০০ নম্বরের ভিত্তিতে প্রকাশিত হবে মাধ্যমিকের ফল। সাতটি নয় পাঁচটি বিষয়ে পাশ করলেই পরীক্ষার্থীরা হবে মাধ্যমিক পাশ।
তবে এই পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে ইংরেজী এবং গণিতে পাশ করা বাধ্যতামূলক। এই দুটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কারণ হল উচ্চ শিক্ষায় ইংরেজি গুরুত্বপূর্ণ, তাছাড়া সম্প্রতি রাজ্য সরকার ইংরেজির উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এছাড়া গণিত মানুষকে যুক্তি দিয়ে বোঝাতে সাহায্য করে এবং উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে গেলে গণিতের প্রয়োজন হয়।
সম্প্রতি জানা যায় যে WBSE এর তুলনায় CBSE ও ICSE বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা সহজেই মাধ্যমিক পরীক্ষা উত্তীর্ণ হচ্ছে এবং মোট নম্বরে ও এগিয়ে থাকছে। সমস্ত কিছু পর্যালোচনা করার পর দেখা যায় যে ৫ টি বিষয়ের উপর জোর দেয়া এর প্রধান কারণ। তাই মানের সাথে আপোস না করে কেন্দ্র এবং দিল্লী বোর্ডের সাথে অসাম্য ঘোচানোর জন্য এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। দপ্তর সূত্রে খবর, প্রস্তাব জমা পড়ার পর প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ ও মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা ২০২০ তে কার্যকরী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে ২০২১ এ নতুন নিয়ম চালু হতে পারে।