লোকসভা নির্বাচনে হারানো ভোটব্যাংক ফিরে পেতে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব দায়িত্ব দিয়েছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে। দায়িত্ব নেওয়ার পর দলের খোল নলচে বদলে ফেলেছেন পিকে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়মিত ব্যবধানে জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করার নিদান দিয়েছেন। যার পোশাকী নাম ‘দিদিকে বলো’। প্রশান্ত কিশোরের টিম কড়া নজর রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিদের উপর।
প্রশান্ত কিশোরের কৌশলেই ভোটে লড়বে তৃণমূল। এই ভরসা যে এমনি এমনি নয়, তার প্রমাণও মিলেছে উপনির্বাচনে। পিকে-র তৈরী করে দেওয়া কৌশলেই বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছে তৃণমূল। তাই এবার পুর নির্বাচনেও পিকে-ই ঠিক করবে ভোট কৌশল। একথা জানার পরই ঘাম ছুটেছে বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিদের।
আরও পড়ুন : CAA না মানলেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক : মোদীর মন্ত্রী
কারণ, প্রশান্ত কিশোর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগে ভোটে জিতেছেন বলেই কাউকে প্রার্থী করা হবে না আর। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হবে জনপ্রতিনিধিদের কাজকে। এর সঙ্গেই প্রাধান্য পাবে ব্যক্তিগত ভাবমূর্তিও। স্থানীয় পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির ব্যক্তিকেই প্রার্থী করার কথা বলেছেন প্রশান্ত কিশোর। আর এতেই চাপে পড়েছে পুরসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। কার ঘাড়ে পড়বে কোপ সেই নিয়ে চিন্তিত সকলে। শুধু তাই নয়, পিকে-র টিমের কে কোত্থেকে কার উপর নজর সে বিষয়েও নিশ্চিত হতে পারছেন না কেউ।
ফলে, পিকে-র ঠিক করে দেওয়া গাইডলাইন মেনে না চললে রিপোর্ট চলে যাচ্ছে নির্দিষ্ট ঠিকানায়। তাই নির্দিষ্ট পোশাক পরা থেকে মার্জিত ব্যবহার সবেতেই খেয়াল রাখতে হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের। কারণ, এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই মিলবে পুরভোটের টিকিট। শীর্ষ নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোন লবি বা কাউকে ধরে টিকিট পাওয়া যাবে পুরভোটের। পিকে-র দেওয়া নির্দিষ্ট যো