শর্ত মেনে অবশেষে লাদাখের তিন এলাকা থেকে সেনা সরালো চীন। সামরিক ও কূটনৈতিক শর্ত মেনে এই সেনা সরালো চীন। তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কিছু অংশে সেনা সরানো নিয়ে এখনো টানাপোড়েন চলছে দুই দেশের মধ্যে। বৃহস্পতিবার সেনা সরানোর বিষয়টি নজরে আসে। তবে ১৯৬২ এর ঘটনার কথা মাথায় রেখে, চীন সেনা সরালেও ভারতীয় সেনা নজর রাখছে পরিস্থিতির উপর। ১৯৬২ সালেও একইভাবে প্রথমে সেনা সরিয়ে পরে আক্রমণ করেছিল চীন। তাই এবারে যাতে সেই পরিস্থিতিতে না পড়তে হয় তারজন্য পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরা।
গত ৩০শে জুন লাদাখের চুসুল সীমান্ত লাগোয়া মল্ডোতে সেনা সরানোর বিষয়ে দুই দেশের আধিকারিকদের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। গত ৫ই জুলাই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে চীনের বিদেশমন্ত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলরের বৈঠক হয়। সেখানেই ঠিক হয় সেনা সরানোর বিষয়টি। সেনা সূত্রের খবর, সেই আলোচনার পরেই সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে চীন। চীনের সেনা সরানোর বিষয়টি উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ থেকে চীন সেনার পিছু হটার ছবি ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ ছাড়াও, পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ এবং পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৭ থেকের কিছুটা পিছনে সরেছে চীন সেনা। সূত্রের খবর, ৩০শে জুনের পর ওই এলাকা থেকে পাঁচটি ছাউনি সরিয়েছে চীন সেনা। অল্প কিছু সেনা সরেছে প্যাংগং এলাকা থেকেও। তবে ওই এলাকা এখনো সম্পূর্ণ ভাবে চীনাদের দখলমুক্ত নয় বলে জানা যাচ্ছে। আজ শুক্রবার আবার বৈঠকে বসছে দুই দেশ।