এবার চিনের বিরুদ্ধে আমেরিকা দাবি করেছে, চিনের প্রশাসন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কয়েক লক্ষ শিশু কন্যাকে খুন করেছে। বেস্টি ডেভোস দাবি করেছেন, ১৯৯৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কয়েক লাখ শিশু কন্যাকে খুন করে দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি। করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছরাতে না ছড়াতেই একাধিক বিষয় নিয়ে চিনের ওপর খোভ প্রকাশ করেছে আমেরিকা।
এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেছে শিশু হত্যার মতোন বিষয়ও। ইতিমধ্যেই মার্কিন শিক্ষা সচিব বেস্টি ডেভোসের এই অভিযোগের পর বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কিছু দিন আগেই চিনের ওপর ক্ষব্ধ হয়ে শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চিনের জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে সুতো, চুলের ক্লিপ, সাজার জিনিস, কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ এবং বস্ত্র আমদানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মার্কিন প্রশাসন৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানিয়েছছিল, মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করে এমন কোনও বিষয়কেই প্রশয় দেবে না তারা৷
এমনকি শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে উৎপাদিত কোনও পণ্যই আসতে দেওয়া হবে না আমেরিকায় সেটিও জানানো হয়েছে চিনকে। আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এর তরফে বলা হয়েছিল, “এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে বেআইনি এবং অমানবিক ভাবে শ্রম দানে বাধ্য করে চিনে যে পণ্য উৎপাদন করে আমেরিকায় পাঠানো হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হল৷ শ্রমিকদের সঙ্গে এই আচরণ আধুনিক যুগে দাস প্রথার নামান্তর৷
এই পণ্যগুলি আমেরিকায় আসার ফলে আমাদের দেশের শ্রমিক এবং ব্যবসারও ক্ষতি হয়”। এরপরে তথ্য চুরির মতোন বিষয়ও উঠে এসেছিলো যার কারণে রাতারাতি বন্ধ করা হয় পাবজি। এর পর আবার শিশু হত্যার মতোন বিষয় চমকে দিয়েছে সকলকেই।