কোনও দেশের সঙ্গে ঠান্ডা বা গরম যুদ্ধে যেতে চায় না চিন, জানালেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং
বেজিং: করোনা পরিস্থিতিতে যখন গোটা বিশ্ব উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে, ঠিক তখন গত চার মাস ধরে কার্যত লাদাখে ভারত-চিনা সেনা মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনের পর দিন লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে চিনা সেনাদের আগ্রাসন বেড়েই চলেছে। এমন সময় বেজিং সরকার ও চিনা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব-কর্তব্য নিয়ে যখন বিশ্ব জুড়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ঠিক তখন রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক বৈঠকের আগে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানিয়ে দিলেন যে, আধিপত্যবাদে বিশ্বাসী নয় চিন। নিজেদের এলাকা প্রসারিত করা বা প্রভাব বাড়ানোর ইচ্ছাও তাদের নেই। এমনকি কোনও দেশের সঙ্গে চিন ঠান্ডা বা গরম কোনওরকম যুদ্ধে যেতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট।
গত 4 জুলাই লাদাখের ভারতীয় ছাউনিতে আচমকা সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখান থেকে নাম না করে চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। মোদি বলেছিলেন, জায়গা দখল করার যুগ চলে গিয়েছে। ইতিহাস সাক্ষী আছে যারা এই জায়গা দখল করে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চেয়েছে, তারাই নয় হেরেছে নয় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকের আগে এক ভিডিও বার্তায় চিনা প্রেসিডেন্টের এ হেন মন্তব্য মোদির বক্তব্যের প্রতুত্তর বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শুধু তাই নয়, বিশ্ব জুড়ে করোনা পরিস্থিতির জন্য যখন চিনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে, তখন সেই প্রসঙ্গেও অবশেষে মুখ খুললেন জিনপিং। তিনি বলেছেন, ‘মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ার কোনও প্রমাণ নেই। এই নিয়ে এখন কাদা ছোড়াছুড়ি না করে বিজ্ঞান মেনে সবার একসঙ্গে করোনাকে হারানোর চেষ্টা করা উচিত। এই নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উচিত অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া। এ ব্যাপারে রাজনীতি করার চেষ্টা অবশ্যই রুখে দেওয়া দরকার। এভাবেই কার্যত নিজের দেশের প্রতি যে দোষের দাগ লেগেছে, তা খন্ডন করার চেষ্টা করলেন চিনা প্রেসিডেন্ট।