ভারত মহাসাগরে ভেঙে পড়েছে চিনার রকেট, তীব্র নিন্দা নাসার
নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চীনের এই রকেট ভেঙে যাওয়ার ঘটনা প্রথম না, তাই তাদের এই নিয়ে আরো বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন
রকেট ভেঙে পড়ার ঘটনা নিয়ে একাধিক দেশ চীনের বিরুদ্ধে সরব। চীনের বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ এনে এবারে সরব হয়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। নাসা অভিযোগ তুলেছে, রকেট ভেঙে পড়ার ঘটনা নিয়ে চীনের আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। সম্প্রতি মালদ্বীপের কাছে ভারত মহাসাগরে ভেঙে পড়েছে চীনের একটি কৃত্রিম উপগ্রহের বিভিন্ন সরঞ্জাম। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নাসা দাবি করেছে চীন অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন একটা কাজ করে ফেলেছে। এই কৃত্রিম উপগ্রহের সরঞ্জাম যদি মাটিতে পড়তো তাহলে কিন্তু ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল প্রচুর।
রবিবার চীনের বৃহত্তম রকেট ১১০ ফুটের লং মার্চ ৫ বি ওয়াই ২ এর ধ্বংসাবশেষ ভারত মহাসাগরে নিমজ্জিত হয়েছিল। চিনা সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে গত বছর মে মাসে এরকমই একটি রকেট চিন উৎক্ষেপণ করেছিল কিন্তু, সেটিও এই ভাবেই ভেঙে পড়েছিল। তবে সেবার কোন সমুদ্রের উপর নয় আইভরি কোস্টে বেশ কয়েকটি বাড়ির উপরে সেই রকেট ভেঙে পড়ে। আবারো সামনে এলো চীনের রকেট ভেঙে যাওয়ার ঘটনা। ফোনে প্রশ্নের মুখে চীনের মহাকাশ সংস্থা।
নাসার প্রশাসক তথা প্রাক্তন সিলেটের বিল নেলসন বলেছেন, “এটা স্পষ্ট যে, চীন মহাকাশের অব্যবহৃত প্রযুক্তি সরঞ্জাম নিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে।” নাসা প্রশাসকের আরও দাবি, “চীন দাবি করছে ভারত মহাসাগরে মালদ্বীপের কাছে ওই অব্যবহৃত সরঞ্জাম জমা হয়ে রয়েছে।কিন্তু সরঞ্জাম কোথায় জমা রয়েছে সেটা নিয়ে কিন্তু এখনো পর্যন্ত কিছু বিবৃতিতে জানানো হচ্ছে না। মহাকাশ থেকে যখনই সরঞ্জাম পৃথিবীতে ভেঙে পড়েছিল সেই সময়মহাকাশ থেকে যখনই সরঞ্জাম পৃথিবীতে ভেঙে পড়েছিল সেই সময় চীনের অনেক বেশি দায়িত্বশীল ভাবে কাজ করা উচিত ছিল।”
এছাড়াও তিনি চীনকে জানিয়েছেন যেন তারা তাদের কাজের ক্ষেত্রে আরো বেশি স্বচ্ছতা প্রদান করে। এছাড়াও যখন করণা মহামারীর কারণে পৃথিবীর এমন খারাপ অবস্থা হয়ে রয়েছে, সেই পরিস্থিতিতে যদি এরকম একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেত তাহলে হয়তো পৃথীবির কোনো একটি বা দুটি দেশে আরো বেশি ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত। কিন্তু চীনা সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে উদ্বেগের কোন কারণ নেই।