অবশেষে চীনে তুলে নেওয়া হচ্ছে লকডাউন, কারণ গত ৫ দিনে ইউহান শহরে একজন ছাড়া নতুন কোনো আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। প্রায় আড়াই মাসের কঠিন লড়াইয়ের পর আশার আলো চীনে। এই মারণ ভাইরাসে গোটা চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৭ হাজারের বেশি এবং মারা গেছে ৩২৮৭ জন মানুষ। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই ছিলেন ইউহান শহরের। এই পরিস্থিতিতে ইউহানে জারি করা হয়েছিল লকডাউন। তবে গত ৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা বিচার করে আগামী ৮ই এপ্রিল তুলে নেওয়া হবে লকডাউন।
গত ২৪ ঘন্টায় ৮০ জনের শরীরে ভাইরাস পাওয়া গেছে যাদের মধ্যে ৭৬ জন বিদেশ থেকে আগত। তবে এই আড়াই মাসে যে মৃত্যুমিছিল চলেছে সেই তুলনায় এই সংখ্যা খুবই সামান্য। তাই চীন এখন নিজেকে ভাইরাস মুক্ত বলে দাবী করছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই এতোটা নিশ্চিন্ত না হওয়াই ভালো। কারণ একজনের থেকেই আবার আগের পরিস্থিতি ফিরে আসতে পারে।
একদিকে ভাইরাস নিয়ে চিন্তিত গোটা দেশ, অন্যদিকে কূটনৈতিক মহলে একে অপরের ওপর দোষারোপ করা অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পেম্পে করোনাভাইরাসকে ‘চীনা ভাইরাস’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তবে এর প্রতিবাদ করে ভারতে অবস্থিত চীনের দুতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেন, চীন এই ভাইরাস তৈরি করেনি বা ছড়ায়নি। শুধু তাই নয় কিছু বিজ্ঞানীদেরও দাবী এটি মনুষ্য সৃষ্ট ভাইরাস।