ভারতবার্তা ওয়েবডেস্ক: গোটা বিশ্ব জুড়ে অদৃশ্যে থেকে দাপিয়ে বিরাজ করছে করোনা ভাইরাস। প্রতিনিয়ত মৃত্যু বেড়েই চলেছে। করোনার প্রকোপে আক্রান্ত হয়েছেন গোটা বিশ্বের মানুষ। আর এই মারণ ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিস্কারের চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে বিভিন্ন দেশ। করোনার হাত থেকে নিস্তার পেতে এবার চীনের বিজ্ঞানীরা একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। যাতে তাঁরা আশার আলো দেখছেন।
একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বেইজিং-য়ের সিনোভাক বায়োটেকে কোভিড-১৯ এর একটি ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েছে। এই ভ্যাকসিন কোভিড-১৯ আক্রান্ত বানরের দেহে দারুণ সাড়া মিলেছে। জানা গিয়েছে, ওই ভ্যাকসিন ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করতে পারে। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষার জন্য বানরদের SARS-CoV-2 এর সংস্পর্শে আনেন। এর তিন সপ্তাহ পরে তাঁদের দেহে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ঘটে।
এরপর কয়েকটি বানরের দেহে পাইকোভ্যাকের ডোজ প্রয়োগ করা হলে তাঁরা করোনার সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠে এবং ফুসফুসে কোনোপ্রকার ভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি।। অপরদিকে যাঁদের দেহে ওই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ করা হয়নি তাঁরা ধীরে ধীরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। ভারতীয় বানরের দেহে ইনজেকশনের মাধ্যমে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়। তার ফলে সেই বানর সংক্রমণের থেকে সুস্থ হয়ে ওঠে।
সায়েন্স ম্যাগাজিনের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ভ্যাকসিন আক্রান্তের দেহে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে প্রতিরোধ ক্ষমতা জাগিয়ে তোলে। এই অ্যান্টিবডিগুলি সাধারণ ভাইরাসে আক্রমণ করে তাঁদের নিষ্ক্রিয় করে দেয়। জানা গিয়েছে, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে চীনের বিজ্ঞানীরা মানুষের দেহে করোনার প্রতিষেধক প্রয়োগের চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি ইজরায়েল, ইতালি এই দেশগুলিও করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কথা ঘোষণা করেছে।