পাটলিপুত্র: করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। দেশ জুড়ে যখন করোনা পরিস্থিতি অব্যাহত, ঠিক তখন সমস্ত করনাবিধি এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে নির্বাচনের আয়োজন করা নির্বাচন কমিশনের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। ইতিমধ্যেই বিহারে প্রথম দফার নির্বাচন বেশ কয়েকদিন আগেই হয়ে গিয়েছে। আর আজ, মঙ্গলবার বিহারে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হচ্ছে। সকাল সাতটা থেকে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে বিহারের খাগারিয়ায় ভোট দেওয়ার আগে চিরাগ পাসওয়ান দাবি করেছেন, আগামী ১০ নভেম্বরের পর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে আর নীতিশ কুমার থাকবেন না।
বিহারের ১৭টি জেলার ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে আজ। ভোট দিচ্ছে প্রায় ২.৮৫ কোটি ভোটার। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে লড়াইয়ে রয়েছেন দেড় হাজার প্রার্থী। আর এই দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে এসেই ভোট দেওয়ার আগে চিরাগ বলেন, ‘আমাকে দিয়ে আপনারা লিখিয়ে নিতে পারেন বা আমি আপনাদের লিখে দিতে পারি যে, আগামী ১০ নভেম্বর অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নীতিশ কুমার আর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না। আমার নীতি হল বিহার প্রথম, বিহারী প্রথম। চার লক্ষ বিহারীর পরামর্শে ভিশন ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়েছে। আমি সেই মতই কাজ করে যেতে চাই। অহংকারের কারণেই অতীতেও আমআদমি বড় বড় মানুষকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করেছে। এবারও তাই হবে। বিহারের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর কোনও রোডম্যাপ নেই। তাই তিনি আর মুখ্যমন্ত্রী পদে ১০ নভেম্বরের পর বসবেন না। আমি নিশ্চিত।’ এভাবেই কার্যত নীতিশ কুমারের ভবিষ্যৎবাণী করে ফেললেন চিরাগ পাসওয়ান।
প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বুথে দেড় হাজারের বদলে ১০০০ করে ভোটাররা ভোটদান করছে। প্রত্যেক বুথে ঢোকার মুখে থাকছে থার্মাল স্ক্রিনিং এবং স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা। এমনকি প্রথম দফার নির্বাচনের মতো দ্বিতীয় দফার নির্বাচনেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর স্যানিটাইজ করা হবে ব্যালট মেশিনকে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই বিহারের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে।