কেন্দ্রীয় সরকার নতুন একটি পরিচয়পত্র চালু করার পরিকল্পনা করছে, যা পরিচয়পত্র এবং নাগরিকত্বের একক প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে। বর্তমানে পরিচয়ের জন্য ব্যবহার হয় আধার কার্ড, আর নাগরিকত্ব প্রমাণে ভোটার কার্ড। তবে সিটিজেন কার্ড চালু হলে এটি উভয়ের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে এবং এর গুরুত্ব আরও বেশি হবে।
এই কার্ডটি একটি ইউনিক নম্বরসহ ইস্যু করা হবে, যা প্রত্যেক বৈধ নাগরিককে শনাক্ত করবে। এর মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা এবং অবৈধ নাগরিকদের সনাক্ত করা সহজ হবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowমূল উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, আধার বা ভোটার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট নয়। তাই নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার জন্য পৃথক একটি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (NPR) আপডেট এবং অসমে NRC চালুর সময় থেকেই এ ধরনের উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
সিটিজেন কার্ডের সুবিধা
১. পরিচয় ও নাগরিকত্বের একক প্রমাণ: এটি একদিকে পরিচয়পত্র হিসেবে কাজ করবে, অন্যদিকে নাগরিকত্বেরও প্রমাণ দেবে।
২. জাতীয় নিরাপত্তা বৃদ্ধি: বৈধ ও অবৈধ নাগরিকদের মধ্যে পার্থক্য করা সহজ হবে।
৩. প্রশাসনিক কার্যকারিতা উন্নত করা* নাগরিকদের তথ্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও ব্যবহারের সুবিধা হবে।
৪. বিভ্রান্তি দূরীকরণ: নাগরিকত্ব প্রমাণে একাধিক নথির প্রয়োজন হবে না।
কীভাবে পাবেন সিটিজেন কার্ড?
সিটিজেনশিপ কার্ড পেতে আপনাকে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (NPR) আপডেট প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে।
১. তথ্য প্রদান: সেন্সাস এবং NPR আপডেটের সময় ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য জমা দিতে হবে।
২. তথ্য যাচাই: সরকার তথ্য যাচাই করে বৈধ নাগরিকদের ইউনিক সিটিজেন কার্ড ইস্যু করবে।
৩. ডিজিটাল ও ফিজিক্যাল ফরম্যাট: এই কার্ড ডিজিটাল এবং ফিজিক্যাল, উভয় ফরম্যাটেই পাওয়া যাবে।
কবে থেকে চালু হবে এই কার্ড?
২০২৪ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটের পর থেকে ভারতের জনগণনার কাজ শুরু হবে। এই সময়ে NPR আপডেটের প্রক্রিয়া চলবে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৪ সালের মধ্যেই সিটিজেন কার্ড চালু হতে পারে।
আধার ও ভোটার কার্ডের ভূমিকা
সিটিজেন কার্ড চালু হলেও আধার ও ভোটার কার্ড পুরোপুরি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে না। এগুলি বিশেষ কিছু পরিষেবার জন্য ব্যবহার করা হবে, যেমন ভোটদান এবং বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা গ্রহণ। তবে নাগরিকত্ব প্রমাণের ক্ষেত্রে সিটিজেন কার্ডই প্রধান ভূমিকা পালন করবে।
সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ
নাগরিকত্ব কার্ডের পাশাপাশি কেন্দ্র আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিতে চলেছে:
ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code)
ডিলিমিটেশন (আসন পুনর্বিন্যাস)
এই উদ্যোগগুলি বাস্তবায়িত হলে প্রশাসনিক কার্যক্রম আরও উন্নত হবে এবং নাগরিকদের জীবনযাত্রায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।