শহিদ মিনারে সভায় জটিলতা, আদালতে যাওয়ার ভাবনা বিজেপির
১ মার্চ শহিদ মিনার ময়দানে অমিত শাহর সভায় পুলিশি অনুমতি না পেলে আদালতের দারস্ত হবে বিজেপি। শনিবার এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু তিনটি যুক্তি আদালতে তুলে ধরার ইঙ্গিত দেন। রবিবার কলকাতায় রেকর্ড জমায়েতের লক্ষ্যে রয়েছে গেরুয়া শিবির। সেজন্য প্রতিটি এলাকায় প্রচার, স্বেচ্ছাসেবক মিটিং , মাঠে মঞ্চ তৈরি, নিরাপত্তার বিষয়টিও রয়েছে। তাই সোমবার পর্যন্ত পুলিশি ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করবে বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ হাতে পাঁচ দিন কমপক্ষে দরকার সব প্রস্তুতির জন্য। শহিদ মিনারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভার অনুমতি ইতিমধ্যে দিয়েছে সেনা।
গত বৃহস্পতিবারই রাজ্য বিজেপির তরফে সভার অনুমতি চেয়ে লালবাজারে আবেদন করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করে পুলিশের সিদ্ধান্ত দেখেই আদালতে যাওয়ার ব্যাপারে এগোবে রাজ্য বিজেপি। পুলিশি অনুমতি না মিললে আদালতে যে তিনটি যুক্তিকে তুলে ধরবে গেরুয়া শিবির সেগুলি হল প্রথমত, ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ শহিদ মিনার ময়দানে পরীক্ষার মরশুমে সভা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই বছর ২৭ মার্চ শেষ হয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সেই সময় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনই কংগ্রেসের সভা হয়েছিল। তাহলে ১ মার্চ অমিত শাহর সভার দিন কোনও পরীক্ষা না থাকায় সভা নিয়ে সমস্যার কারণ নেই, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও পরে শুরু হচ্ছে।
আরও পড়ুন : রাজ্যজুড়ে টানা ৩ দিন বৃষ্টি, এই সব জেলাগুলিতে কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা
দ্বিতীয়ত, পরীক্ষার মরশুমের আগে রাজ্য সরকার একটা নোটিফিকেশন প্রতি বছরই বলা হয় ‘রেসিডেন্সিয়াল’ এলাকায় মাইক বাজানো যাবে না। এক্ষেত্রে বিজেপি নেতাদের দাবি, শহিদ মিনার ময়দান ‘নন রেসিডেন্সিয়াল’ এলাকা। তৃতীয়ত, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে নির্দেশিকায় রয়েছে, পরীক্ষার তিনদিন আগে মাইক বাজানো যাবে না। এক্ষেত্রে বিজেপি নেতাদের দাবি, ২৭ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১২ মার্চ। সভার ১১দিন পর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হওয়ায় ১ মার্চ সভার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না। তাহলে সভা করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকছে না। ২৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধের মধ্যেই কলকাতায় চলে আসার কথা রয়েছে অমিত শাহর। রাতেই দলের রাজ্য নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন যার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।