Today Trending Newsদেশনিউজ

মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে নয়া মোড়, স্বস্তি ফিরল কংগ্রেস শিবিরে

Advertisement

প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয় মধ্যপ্রদেশে। সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগ দিতেই তাঁর অনুগামী ২২ জন বিধায়ক নিজেদের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন বিধানসভার স্পিকারের কাছে। এরপরই আস্থাভোটের দাবি জানায় গেরুয়া শিবির। রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনও সোমবার আস্থাভোট করার নির্দেশ দেন। কিন্তু সোমবার বিধানসভা খুলতেই ঘুরে যায় খেলা। কমলনাথের দক্ষ চালে আপাতত স্বস্তি ফেরে কংগ্রেস শিবিরে।

সোমবার, বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলে প্রবল হই-হট্টগোল করতে দেখা যায় কংগ্রেস বিধায়কদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আশঙ্কায় বিধানসভা স্থগিত রাখতে বাধ্য হন অধ্যক্ষ নর্মদাপ্রসাদ প্রজাপতি। আগামী ২৬ শে মার্চ পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারি থাকবে বলে জানান অধ্যক্ষ। ফলে, হাতে কিছুটা সময় পেয়ে স্বস্তি ফেরে শাসক শিবিরে। যে ক’দিন হাতে সময় পাওয়া গেছে, তার মধ্যেই বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বুঝিয়ে দলে ফেরত আনার চেষ্টা চালাবে শীর্ষ নেতৃত্ব। আর এই কৌশল যে আসলে পোড়খাওয়া রাজনীতিক মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সেকথা বুঝতে বাকী নেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন : অর্থ কেলেঙ্কারিতে ইয়েস ব্যাঙ্ক, অনিল আম্বানিকে তলব ইডির

প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় মোট ২৩০ টি আসনের মধ্যে বর্তমানে বিধায়ক রয়েছেন ২২৮ জন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজনীয় ১১৫ জন বিধায়কের থেকে সামান্য বেশি ১২১ জনের সমর্থন নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন অবিজেপি সরকার গড়েন কমলনাথ। কিন্তু কিছু দিন আগে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁর অনুগামী ২২ জন বিধায়ক। তাদের ইস্তফা গৃহীত হলে বিধানসভার ম্যাজিক সংখ্যা নেমে দাঁড়াবে ১০৪-এ। অন্যদিকে, এককভাবে বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা ১০৭। ফলে সরকার গড়তে কোন অসুবিধা হবে না গেরুয়া শিবিরের।

Related Articles

Back to top button