মধ্যপ্রদেশে টালমাটাল পরিস্থিতি, কমলনাথের মাস্টারস্ট্রোকের উপর ভরসা কংগ্রেস নেতৃত্বের
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মধ্যপ্রদেশ সরকার সর্বশেষ রাজনৈতিক সঙ্কট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এই আত্মবিশ্বাস নেতৃত্বের রয়েছে। এ প্রসঙ্গে দলের নেতা পি সি শর্মার বক্তব্য যথেষ্ট ঈঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তিনি এদিন বলেন যে, খুব শীঘ্রই রাজ্যের মানুষ কমলনাথের মাস্টারস্ট্রোক দেখতে পাবে।
মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রসঙ্গে এই কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘অবশ্যই একটি নতুন বিষয় সামনে আসবে। আপনারা খুব শীঘ্রই কমলনাথের মাস্টারস্ট্রোক দেখতে পাবেন।’ রাজ্য সরকার টিকিয়ে রাখতে কংগ্রেসের কাছে প্রয়োজনীয় সংখ্যা আছে কিনা জানতে চাইলে এমনই ঈঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন পি সি শর্মা। তবে সেই মাস্টারস্ট্রোকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
আরও পড়ুন : পুরসভায় বিজেপির মুখ শোভন, জেপি নাড্ডার সঙ্গে ফোনে কথা প্রাক্তন মন্ত্রীর
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সরকার টিকিয়ে রাখতে মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে কমলনাথ শিবির। ইস্তফা পাঠানো ২২ বিধায়ককে বুঝিয়ে সুঝিয়ে দলে ফেরত আনার চেষ্টা চালানো হবে বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে কমলনাথকে সাহায্য করতে পারেন বিধানসভার স্পিকার। দলত্যাগী বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণের আগে বিধানসভায় সশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ জারি করে সুবিধা করে দিতে পারেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীকে।
এছাড়া রাজনৈতিক জট কাটাতে কমলনাথের তুরুপের তাপ হতে পারে বিজেপির ৬ বিধায়ক। যারা এর আগেও দলের নির্দেশ অমান্য করে কমলনাথের পক্ষ নিয়েছিলেন। তাই, মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক জট কাটাতে আপাতত কমলনাথের ব্যক্তিগত দক্ষতার উপরই ভরসা রাখছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, সিন্ধিয়ার পদত্যাগের পরে কংগ্রেস ২২ বিধায়ক দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। যার ফলে কংগ্রেস সরকারকে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।