নিউজরাজ্য

বিতর্কিত রবীন্দ্র ভারতী দোল উৎসব, ইস্তফা দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

Advertisement

বৃহস্পতিবার বসন্ত উৎসব আয়োজিত হয়েছিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে। প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসে বসন্ত উৎসব পালিত হয়। গত কাল সন্ধ্যায় বসন্ত উৎসবের সেই আয়োজনে যে বিশৃঙখলা ও অশ্লীলতা দেখা যায় তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পড়ুয়ারা ছাড়াও আরও বহু বহিরাগত অংশ নেন এই উৎসবে।

সোমবার বেশ কয়েক জন তরুণ-তরুণীর পিঠে এবং বুকে রং দিয়ে অশ্লীল শব্দ এবং বিকৃত রবীন্দ্রসঙ্গীত লেখা ছবি এবং ভিডিও এক নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার পর সেই ছবিকে কেন্দ্র করে আওয়াজ তোহলে সকলে। ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা জানায় তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমালিপ্ত করতে চায় কিছু মানুষ, তাই এমন ধরনের বিকৃত কাজ তারা করেছে। বসন্ত উৎসবের নামে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কী চলছে? এই প্রশ্ন তুলে বিস্ময় প্রকাশ করতে শুরু করেন বিভিন্ন মহলের মানুষ।শুক্রবার বিভিন্ন শিবির থেকে উপাচার্যের দিকেও আঙুল তোলা শুরু হয়। বসন্ত উৎসবে ঘটনার দায় স্বীকার করেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন : রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে দোল উৎসবে চিহ্নিত পাঁচ পড়ুয়া

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, এই ঘটনা তাঁর ক্যাম্পাসেই ঘটেছে। তবে এ ব্যাপারে বিশদে কিছু না জানিয়ে শুক্রবার তিনি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বসন্ত উৎসবের নিয়ন্ত্রণ আগে শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের হাতে থাকলেও তিনি যখন থেকে ছাত্র সংসদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন এই দায়িত্ব তখন থেকেই বসন্ত উৎসবকে ঘিরে প্রতি বছর কোনও না কোনও বিতর্ক তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি জানান তিনি পদত্যাগ করেছেন এবং তার পদত্যাগপত্র তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে পাঠিয়েছেন ও পদত্যাগপত্রের প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীর এই পদত্যাগ চাঞ্চল্য তৈরি করেছে রাজ্যের শিক্ষা মহলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও এ নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দেয়। অনেকেই অভিযোগ করেছেন যবে থেকে বহিরাগতরা এই উৎসবে অংশ নিচ্ছেন তবে থেকে প্রায় প্রতি বারই কোনও না কোনও বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। তবে এই  ঘটনায় পাঁচ জনকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Related Articles

Back to top button