যতই একুশে নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই বঙ্গ রাজনীতিতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে দলবদলের খেলা। সম্প্রতি তৃণমূলের এক ঝাঁক নেতাকর্মীকে বিজেপিতে যোগদান করতে দেখেছে বঙ্গবাসী। কিন্তু এবার হয়তো পাশা বদলাতে পারে। এবার বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য সৃষ্টি করেছে নয়া জল্পনা। তাহলে এবার কি বিজেপি শিবিরে বাড়বে বেসুরো সংখ্যা? বা এবার কি দলবদলের খেলায় স্রোতের অভিমুখ পরিবর্তন হবে?
বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এবার দলের বিরুদ্ধে বেসুরো হয়ে উঠলেন। সমালোচনা করলেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তিনি কয়েকটি প্রশ্ন নিয়ে আক্রমণ করেছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বদের। তিনি চাঁচাছোলা ভাষায় বলেছেন, মতুয়াদের নাগরিকত্ব কবে দেবে সেই নিয়ে কি ভাবছে কেন্দ্র তা জানাতে হবে খুব শীঘ্রই। একুশে ভোটের আগে বিজেপিকে শান্তনু ঠাকুর এর সিএএ ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন উত্তাপ বাড়াচ্ছে বঙ্গ রাজনীতিতে। শান্তনু ঠাকুর প্রশ্ন করেছেন, “একুশে নির্বাচনের আগে কি রাজ্যে কার্যকর হবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন? বা কবে নাগরিকত্ব পাবে উদ্বাস্তু মতুয়ারা?” অবশ্য প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, “দেশজুড়ে করোনা ভ্যাকসিন বিতরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই CAA আমল করা নিয়ে কাজ শুরু হবে।”
কিছুদিন আগে বাংলা সফরে এসে অমিত শাহ নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্র কি ভাবছে তার সম্বন্ধে বলেন। তবে তাদের সন্তুষ্ট নয় বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। শাহের বাংলা সফরের পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই অভিমানের সুর শোনা গিয়েছে মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির শান্তনু ঠাকুর এর গলায়। তিনি বলেছেন, “অমিত শাহ যা বলে গিয়েছেন তা আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য ঠিক না। ওনাকে কথাগুলো একটু স্পষ্ট ভাবে বলে দেওয়া উচিত যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে ওদের পরের পদক্ষেপ কি।” এছাড়াও এদিন শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, “আমি এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি করছি না। এই নীতির বাস্তবায়ন না হলে খারাপ প্রভাব পড়বে মতুয়াদের ওপর। আমাদের সমাজের মানুষদের ভারতের নাগরিক করতে হবে। এটাই আমাদের দাবি। বঞ্চিত হলে অন্য পথ ভেবে নেবো।”
প্রসঙ্গত, বাংলায় মোট ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ৪০ টি আসনে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রভাব আছে। আগের বছর লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ রানাঘাট এর মত জায়গাতে বিজেপি জয়লাভের একমাত্র কারণ ছিল মতুয়ারা। তবে ২০২১ এর নির্বাচনের আগে শান্তনু ঠাকুর এর সাথে বিজেপির সম্পর্ক কেমন থাকে, সেটাই দেখার।