করোনা ভাইরাসের করাল ছায়া পড়েছে গোটা দেশবাসীর ওপর। এই মুহূর্তে ভোটমুখী বাংলায় করোনা সংক্রমিত হচ্ছে দাবানলের মত। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি একের পর এক নির্বাচনী প্রার্থী ও নেতা-নেত্রী করোনার কবলে পড়ছে। এরইমধ্যে শোনা যাচ্ছিল করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির তারকা ভোটপ্রচারক “জাত গোখরো” অর্থাৎ মিঠুন চক্রবর্তী। এই মুহূর্তে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তিনি এবং চলছে চিকিৎসা। আসলে বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই মিঠুন চক্রবর্তী প্রায় প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে গেরুয়া শিবিরের হয়ে প্রচারের ঝড় তুলেছেন। তাকে দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ জমায়েত করত। অনেকেই মনে করেছিলেন জমায়াতের মাঝে গিয়ে শেষ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তবে ঘটনার সত্যতা প্রসঙ্গে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল।
মিঠুন চক্রবর্তী আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন নাকি নিজেই জানিয়েছেন। সমস্ত গুজব উড়িয়ে দিয়ে মিঠুন চক্রবর্তী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “আমার করোনা হয়নি। আমি সম্পূর্ণরূপে সুস্থ আছি।” মিঠুন চক্রবর্তীর এই ঘোষণার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে গেরুয়া শিবির তথা মিঠুন ভক্তরা। এই বাংলায় মিঠুন চক্রবর্তীর যে অনুগামীর অভাব নেই তা স্পষ্ট হয় প্রত্যেকটি জনসভাতে সাধারণ মানুষের উত্তেজনা দেখে। মিঠুন চক্রবর্তীর রাজ্যের যে কোন জেলার যেকোনো প্রান্তে গেলে মানুষের ঢল নেমে যায়। প্রত্যেককেই অভিনেতার মারকাটারি ডায়লগ শোনার জন্য মুখিয়ে থাকে। প্রত্যেক জনসভাতেই মিঠুন চক্রবর্তী ঘিরে তার ফ্যানেরা সেলফি তোলার হিড়িক লাগিয়ে দেয়।
প্রসঙ্গত, করোনার প্রকোপের মাঝে বেশ সাবধান হচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী। আসলে কিছুদিন আগে মিঠুন চক্রবর্তী মালদহের একটি জনসভায় গিয়ে তীব্র বিতর্কের মাঝে পড়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে যে এখন মাত্র ৫০০ জন নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জনসভা করা যাবে। কিন্তু সেদিনকার মিঠুনের জনসভায় মানুষের ঢল নেমেছিল। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার তোয়াক্কা না করে মাস্ক ছাড়াই মানুষ মেলামেশা করেছিল। এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় গোটা বঙ্গ রাজনীতি। এমনকি মালদহের তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস নির্বাচন কমিশনের কাছে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।