একদিকে যেমন করোনা ভাইরাস সমগ্র বিশ্ববাসীর সুখ-স্বাচ্ছন্দ কেড়ে নিচ্ছে ঠিক তেমনি দেশজুড়ে প্রত্যেকটি জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের কপালে ভাঁজ ফেলছে। প্রতিনিয়ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি সব জিনিসের দাম বাড়তেই থাকছে। এরকম করে চলতে থাকলে মধ্যবিত্ত মানুষ কি করে তাদের দিন যাপন করবে সেটা এখন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। মধ্যবিত্ত মানুষের আয় এক রয়ে গেলেও, মূল্যবৃদ্ধির কারণে তাদের বেঁচে থাকার জন্য ব্যয় করতে হচ্ছে অনেক। এবার মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের শান্তি উজার করতে ফের একমাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম।
চলতি মাসের শুরুর দিকে অর্থাৎ ২ ডিসেম্বর রান্নার গ্যাসের দাম ৫০ টাকা বেড়েছিল। তারপর আবার দু’সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবার বাড়ল গ্যাসের দাম। আজ থেকে গ্যাসের দাম আরো ৫০ টাকা বেড়ে গেল। এক মাসের মধ্যে দুবার রান্নার গ্যাসের দাম ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেল। স্বভাবতই এই খবর শুনে ভাঁজ পড়েছে মধ্যবিত্তের কপালে। এমনিতেই আম্ফান পরবর্তী সময়ে বাজারে শাকসবজির অগ্নি মূল্য। মানুষ দুবেলা খাবার জোটাতে হিমশিম খাচ্ছে। তারই মধ্যে প্রতিমাসেই প্রায়ই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম। এ মাসে দুবার দাম বৃদ্ধিতে রীতিমতো নাজেহাল মধ্যবিত্তরা।
এর আগে চলতি মাসে ২ ডিসেম্বর ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারের গ্যাসের দাম ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছিল। তখন গ্যাসের দাম ছিল ৬৭০ টাকা ৫০ পয়সা। তারপর আবার আজকে গ্যাসের দাম ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেল। দু’দফায় মিলিয়ে এক মাসের মধ্যেই গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেল ১০০ টাকা। আজকে কলকাতায় ১৪.২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারে ভর্তুকি হীন দাম হয়ে দাঁড়িয়েছে ৭২০ টাকা ৫০ পয়সা।
এছাড়াও বাণিজ্যিক ব্যবহার করা ১৯ কেজি গ্যাসের সিলিন্ডারের দামও বেড়েছে। ১৯ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ফের ৩৬ টাকা বাড়লো। চলতি মাসে দু’দফায় মিলিয়ে মোট দাম বাড়লো ৯১ টাকা ৫০ পয়সা। এখন কলকাতায় ১৯ কেজি গ্যাসের সিলিন্ডারের মূল্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। বাণিজ্যিক ব্যবহারের সিলিন্ডারের দাম এত হওয়াতে রীতিমতো মাথায় হাত হোটেল মালিকদের। একই মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পায় দুশ্চিন্তায় সাধারণ মানুষ। অনেকেই এক মাসের মধ্যে রান্নার গ্যাসের এত দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে।