আগামী ২-৪ সপ্তাহের মধ্যেই আছড়ে পড়বে করোনার তৃতীয় ঢেউ
এই তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবেন শিশুরাই
করোনাভাইরাস এর প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউ এখন অতীত, এবার ভারত অপেক্ষা করছে তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য। প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের চরিত্র পর্যবেক্ষণ করে বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তৃতীয় ঢেউ হতে চলেছে শিশুদের জন্য আরও মারাত্মক। মনে করা হচ্ছে, তৃতীয় ঢেউয়ের মোট আক্রান্তের মোটামুটি ১০ শতাংশ আসবে শিশুদের থেকে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই তৃতীয় ঢেউ এর ফলে আবারো টালমাটাল পরিস্থিতিতে চলে আসবে গোটা দেশ।
প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউ যে রকম ভাবে কাজ করেছিল সে রকম ভাবে হয়তো তৃতীয় ঢেউ কাজ করবে না। এই দুই ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এরা কিন্তু আসন্ন তৃতীয় ঢেউয়ে কিন্তু সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবেন শিশুরা। বেশকিছু রাজ্য ইতিমধ্যেই শিশুদের জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু করে দিয়েছে। শিশুদের সে ফোন থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা হচ্ছে বেশ কয়েকটি রাজ্যে। শুধু তাই নয় মহারাষ্ট্র সরকার বহুদিন আগে থেকেই শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা করা শুরু করে দিয়েছে।
এআইআইএমএস দিল্লির ডাইরেক্টর জেনারেল রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, আগামী ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে ভারতে আছড়ে পড়তে চলেছে করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ। তাই সকলকে তিনি জানিয়েছেন যাতে শিশুদের তারা বাড়ি থেকে বাইরে কম বের করেন। এছাড়াও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এর উপস্থিতিতে একটি মিটিং করা হয়েছিল টাস্কফোর্সের দ্বারা যেখানে আশঙ্কা করা হয়েছিল দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় ঢেউ আরো বেশি মারাত্মক হতে পারে।
টাস্কফোর্সের বৈঠকে আশঙ্কা করা হয়েছিল, এইবারের ঢেউয়ে আগেরবারের থেকেও দ্বিগুণ সংক্রমণ হতে পারে। বৈঠকে জানানো হয়েছে এবারের ঢেউয়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা পৌঁছতে চলেছে ৮ লক্ষের কাছাকাছি। তবে এই বার ১০% আক্রান্তের সংখ্যা আসবে শিশুদের থেকে। এরকম একটি ঢেউ দেখা গিয়েছিল আমেরিকাতেও। সেখানে দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর চার সপ্তাহের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউ চলে এসেছিল। সেখানেও শিশুরা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই কারণে ইতিমধ্যেই পুনে, নাগপুর এবং মুম্বাইয়ের মতো বড়-বড় শহরগুলিতে সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সকল অভিভাবকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, যেন তারা তাদের শিশুদের খেয়াল রাখেন।