সারা ভারতে করোনা ভাইরাসের কেসের সংখ্যা লাগাতার কমতে শুরু করেছে। সোমবার ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১.৫২ লক্ষ। এর ফলে বর্তমানে ভারতের সর্বমোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২.৮০ কোটি। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে ৩,১২৮ জন করোনা ভাইরাসে মারা গিয়েছেন। এর ফলে বর্তমানে ভারতের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা এখন ৩,২৯,১০০। এখন ভারতে ২০,২৬,০৯২ টি অ্যাক্টিভ কেস আছে। তার সাথেই ২,৫৬,৯২,৩৪২ জন সুস্থ হয়েছেন করোনা থেকে।
বর্তমানে ভারতের ৫টি রাজ্যে সবথেকে বেশি কোভিডের ঘটনা সামনে আসছে। এই ৫টি রাজ্য হলো তামিলনাড়ু (২৮,৮৬৪ কেস), কর্ণাটক (২০,৩৭৮ কেস) , কেরালা (১৯,৮৯৪ কেস), মহারাষ্ট্র (১৮,৬০০ কেস) এবং অন্ধ্র প্রদেশ (১৩,৪০০ কেস)। এই ৫টি রাজ্যেই সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্ত আছেন। ভারতের বর্তমান সময়ে মোট করোনা আক্রান্তের ৬৬.২২ শতাংশ আসছে এই ৫টি রাজ্য থেকেই।
তামিলনাড়ুতে সম্প্রতি ১৮.৯ শতাংশ কেস বেড়েছে। এছাড়াও মহারাষ্ট্রে সবথেকে বেশি মারা গেছে মানুষ একদিনে (৮১৪ জন)। তামিলনাড়ুতে ৪৯৩ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে, আস্তে আস্তে ভারত আবার ফিরতে শুরু করেছে নিজের জায়গায়। উত্তর প্রদেশের সরকার ১ জুন থেকে লকডাউন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার সাথেই সপ্তাহে ৫ দিন করে সমস্ত দোকান (কন্টেইনমেন্ট জোনের বাইরে) খোলা শুরু করেছে। তবে এই আনলক ২০টি জেলা বাদ দিয়ে বাকি জায়গায় করা হবে, যেখানে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৬০০ এর কম হবে।
এই ২০টি জেলার মধ্যে আছে মিরাট, লখনৌ, সহরাণপুর, মুজাফফর নগর, গৌতম বুদ্ধ নগর, গোরোখপুর, বরেলি, বারাণসী, গাজিয়াবাদ, বুলন্দশহর, ঝাঁসি, প্রয়াগরাজ, সোনভদ্র, জনপুর, বাঘপাট, লক্ষ্মীপুর – খিরি, মুরাদাবাদ, দেওড়িয়া, গাজীপুর, এবং বিজনোর। পাশাপশি, কেরালা, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা, ওড়িশা, সিকিম, সহ আর কিছু রাজ্যে আবার লকডাউন এক্সটেন্ড করা হয়েছে। দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, এবং হিমাচল প্রদেশে কিছু জিনিসের উপরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে।














