শ্রেয়া চ্যাটার্জি – মিষ্টির দোকানের পাশাপাশি খোলা হয় ফুলের মার্কেট। ফুলের মার্কেট হিসাবে আমাদের যে জায়গাটি চোখে পড়ে সেটি হল হাওড়া ফুলের মার্কেট। প্রতিদিনই সেখানে থাকে ঠাসাঠাসি ভিড়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের জনসমাগমে জায়গাটি একেবারে গমগম করে। পরিস্থিতি আজকের দিন এও বদলায় নি। গোটা ভারতবর্ষে জুড়ে যখন লকডাউন চলছে তখন ফুলের মার্কেটের চেহারাটা একবার দেখলে মনে হবে এই জায়গাটিতেই লকডাউন উঠে গেছে। বেশ সুন্দর মানুষ মাস্ক না পরেই ঠাসাঠাসি ভিড়ে ঘোরাঘুরি করছেন।
মানুষ আর কবে বুঝবে? ইতালি লকডাউন মেনে নেয়নি, তার অবস্থা আজ সে ভোগ করছে। প্রেম নগরী পরিণত হয়েছে প্রেত নগরীতে। আমরাও কি চাই ভারতের পরিণতি কেমন হোক? আমরা কবে সচেতন হব? কবে বুঝব? যেদিন কাছের মানুষগুলোকে শেষ দেখাও দেখতে পারবো না? একেক করে কাছের মানুষ মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়বে? সেদিন বুঝব?
যদি বেঁচে থাকতে চান, তাহলে লকডাউন মেনে নিন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, অকারণে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। সর্দি-কাশি জ্বর হলে ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিন। এখন ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি ঘরে ঘরে তাই ভয় পেয়ে লুকিয়ে রাখবেন না।