২০২৪ সালের আগে বিশ্বের প্রতিটি মানুষ ভ্যাকসিন পাবে না এমনটাই জানালো বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন উত্পাদনকারী সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট (SII)। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এমনকি এখনও মেলেনি ওষুধ, এরমধ্যেই প্রতিদিন যে হারে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বাড়ছে তাতে চিন্তা বাড়ছে দেশের আম জনতার।
আগের সপ্তাহের প্রথমেই ব্রাজিলকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে আসে ভারত। আমেরিকা ও ব্রাজিলের থেকে বর্তমানে ভারতে অনেক বেশি দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস৷ তবে সেই তুলনায় প্রথম স্থানে আছে আমেরিকা। তার মধ্যে ওষুধ মিলবে ২০২৪ সালে, তা স্বভাবতই আমাদের প্রত্যেকের কাছেই দুঃসংবাদ। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে মিলে ১০০ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করার দায়িত্ব পেয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট৷
জানা গিয়েছে, অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিনের এই দুটো ডোজের দাম ৬৮টি দেশে ৩ মার্কিন ডলার পড়বে যা ভারতীয় মুদ্রায় ২২০ প্রায় টাকা। অন্যদিকে নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সিরাম আরো ৯২টি দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে। তাই সব মিলিয়ে এই ওষুধ মিলতে লাগবে আরো সময়।
সিরাম ইনস্টিটিউট -এর সিইও আদর পুনাওয়ালা একটি সাক্ষাত্কারে জানান, “এই গ্রহের সব মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে হলে আরও ৪ থেকে ৫ বছর লাগবে৷ প্রত্যেককে দু ডোজ করে ভ্যাকসিন দিতে গেলে বিশ্বে ১৫০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন”৷ আদর পুনাওয়ালা আরো জানান, “আমি জানি, এ ব্যাপারে বিশ্ব ইতিবাচক হতে চাইছে৷ কিন্তু কোনও সংস্থাই এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন পরীক্ষার সম্পূর্ণ নিরাপদ চূড়ান্ত পর্যায়ের কাছাকাছি যেতে পারেনি”।