বর্তমান সবচেয়ে যে বিষয়টি সব দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে তা হলো করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসটি এতটাই ছোঁয়াচে যে দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ছে। হাজার হাজার চীনের মানুষ প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের এক মাংসের বাজার থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, চীনে ১৫০০ পার করেছে মৃত্যুর সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। চীন যেন বর্তমানে মৃত্যুপুরী। উহান শহরের রাস্তাঘাট জনশূন্য। তবে চীনের এমন সংকটজনক অবস্থা হলেও ভারতের পরিস্থিতি এখনোও নিয়ন্ত্রণে।
নয়া দিল্লিতে স্বাস্থ্য সচীব প্রিতি সুদান জানিয়েছেন, চীনের সীমান্তবর্তী হিমাচল প্রদেশ, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ, লাদাখের স্থানীয় প্রশাসনকে বিশেষ সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ভাইরাসটি ভারতে হামলা চালায়নি। তবে সব দেশের বিশেষ করে এশিয়ার অন্তর্গত দেশগুলির স্বাস্থ্যসচীবদের বিশেষ সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে। ভুটানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ না মিললেও ভারত ও নেপালে মিলেছে সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা। চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৪৩ মারা গেছেন ও ২ হাজার ৬৪১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যার ফলে শনিবার, আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬৬ হাজার ৪৯২ জন।
আরও পড়ুন : দাম বাড়ার পরেই সুখবর, মধ্যবিত্তের দুঃশ্চিন্তা কমিয়ে ভর্তুকি বাড়ছে রান্নার গ্যাসের
চিন্তার বিষয়, যেসমস্ত দেশ অর্থনৈতিক ও চিকিৎসার দিক থেকে দুর্বল তাদের পক্ষে এই ভাইরাসটিকে মোকাবিলা করা কষ্টসাধ্য। তাই দেশের স্বাস্থ্য সচীবদের বৈঠকের মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।