জল্পনা চলছিল, শেষ পর্যন্ত পুরভোট পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে সীলমোহর দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে পুরভোট পিছিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সর্বদল বৈঠকে জানালেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের তরফে এপ্রিলের মাঝামাঝি পুরভোট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসতেই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানায় রাজনৈতিক দলগুলো। কারণ হিসেবে তারা প্রচারের সমস্যার কথা জানান। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যেকোন ধরনের জমায়েত স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। অথচ ভোটে অংশগ্রহণ করতে হলে প্রচার করতে হবে। আবার এই প্রচারের জন্য ছোট, বড় বিভিন্ন ধরনের জমায়েতের প্রয়োজন। তাই আপাতত পুরভোট না আবেদন জানায় রাজনৈতিক দলগুলো।
আরও পড়ুন : ৩১ মার্চ নয়, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি থাকবে ১৫ ই এপ্রিল পর্যন্ত
সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এপ্রিলের পরিবর্তে জুনের প্রথম সপ্তাহে হবে নির্বাচন। মূলত, মাঝখানে রমজান মাস পড়ে যাওয়ায় বেশ কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে পুরভোটের নির্ঘন্ট। তবে পুরভোট যে পিছিয়ে যাবে, সে নিয়ে নিশ্চিত ছিল সব পক্ষই। সোমবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সেই ভাবনাকেই মান্যতা দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।