বিশ্বজুড়ে নোভেল করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নোভেল করোনাভাইরাস মহামারীর আকার নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার গতকাল দেশজুড়ে ২১ দিন লকডাউন ঘোষণা করেছে। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন থাকবে গোটা দেশ। এই সিদ্ধান্ত কে একেবারে সঠিক পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন ICMR-এর জার্নাল রিপোর্টের সদস্য ডক্টর ভটনাগর। তিনি বলেছেন ভারত বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রাথমিক ধাপে থাকায় এই মুহূর্তে ২-৩ সপ্তাহ সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে চললে এই ভাইরাসের প্রকোপ অনেকটাই কম হবে ।
করোনা আক্রান্ত বা উপসর্গ দেখতে পাওয়া মানুষদের কোয়ারেন্টাইন করে রাখার ক্ষেত্রে, ৮০ শতাংশর ক্ষেত্রে নেই কোনও সমস্যা ,বাকি ২০ শতাংশের ক্ষেত্রে দিতে হয় হাসপাতালের পরিষেবা, তবে ৪-৫% খুব গুরুতর কেস থাকে বিশ্বে। ভারতে করোনা আক্রান্ত বা উপসর্গ দেখা গেছে এমন ৫০ শতাংশ মানুষ যদি বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকে তাহলে ৬২ শতাংশ কমে যাবে সংক্রমণের সম্ভাবনা। বর্তমানে ভারতে যে অবস্থা তা কিছুদিন আগে ইতালিতে ছিল, এই সময় যদি সতর্কতা অবলম্বন করে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তাহলে মৃত্যুর সংখ্যা কমবে অনেক।
ICMR-এর তরফে বলা হয়েছে, এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া থেকে আটকানো সম্ভব। ICMR-এর জার্নাল রিপোর্ট অনুযায়ী , আটকানো যেতে পারে ভারতে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ। কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে ১৫ লক্ষ কলকাতা, মুম্বই ও বেঙ্গালুরুতে ৫ লক্ষ মানুষের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আগামী ৬মাসের মধ্যে হতে পারে এমন পরিস্থিতি। তবে এটা শুধুমাত্র একটা আনুমানিক হিসাব বলে জানিয়েছেন ICMR -এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব।
তবে যদি আক্রান্ত ৫০ শতাংশ মানুষ কোয়ারেন্টাইনে থাকে তাহলে বিশ্বজুড়ে ৮০-৯০ শতাংশ কমে যাবে সংক্রমণের পরিমাণ। ডক্টর তরুণ ভটনাগর জানিয়েছেন সংক্রমণ আটকাতে বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্ক্রিনিংয়ের কিট পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।