৩ দিনের বাচ্চার শরীরে করোনাভাইরাস, বাড়ির লোক দায়ী করলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কে
শ্রেয়া চ্যাটার্জি – ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কিন্তু গবেষণা থেকে জানা গিয়েছিল, বাচ্চারা এর আক্রমণ থেকে অনেকটাই দূরে থাকবে, কিন্তু ভারতবর্ষে এই প্রথম তিন দিনের বাচ্চার শরীরে পাওয়া গেল করোনাভাইরাস। বাচ্চাটির ২৬ শে মার্চ চেম্বুর এর সাঁই হসপিটাল জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু বাচ্চাটির পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয় তাদের কোন বিদেশে যাওয়ার ইতিহাস নেই। শুধু তাই নয় তারা তাদের বাড়ি থেকেও দশদিন বেরোয়নি। তারা দাবি করছেন তার মা এবং বাচ্চাটি হসপিটালে আসার পরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা জানান যে, বাচ্চাটি জন্ম গ্রহণের পর এই বাচ্চাটিকে এবং বাচ্চাটির মাকে অন্য ঘরে স্থানান্তর করানো হয়, এর কারণ অবশ্য চিকিত্সকরা জানাননি পরেরদিন ডাক্তার মা এবং বাচ্চার দুজনেরই করোনাভাইরাস টেস্ট করার জন্য বলেন এবং তিন দিনের মাথায় মা এবং বাচ্চা দুজনেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এমনটা জানান।
মহিলার স্বামী জানাচ্ছেন, বাচ্চাটির মা হসপিটালে ভর্তি হওয়ার আগে তার মধ্যে কোন রকম করোনা ভাইরাস এর লক্ষণ দেখা যায়নি। বাচ্চাটির মা এবং বাচ্চাটিকে মঙ্গলবার কুর্লা ভাবা হসপিটালে স্থানান্তরিত করা হয় । পরে আবার মুম্বাইয়ে করোনাভাইরাস এর আক্রান্তদের সেন্টার হিসাবে তৈরি হসপিটাল, কস্তুরবা হসপিটালে তাদেরকে স্থানান্তরিত করা হয়।
সবমিলিয়ে ভারতবর্ষের পরিস্থিতি ও কিন্তু বেশ জটিল। আমরা বাচ্চাটির দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা কামনা করি। সাথে গোটা ভারতবাসী এবং বিশ্ববাসী আমরা প্রত্যেকে যেন আবার নিজের জায়গায় ফিরে আসতে পারি এমনটাই কামনা করি। আমাদের প্রত্যেকের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ঘরের মধ্যে থাকতে হয়। তবেই আমরা আবার আমাদের পুরনো জীবনে ফিরে যেতে পারবো। যারা ভাবছেন বন্দিজীবন ভালো লাগছেনা তারা একবার ভেবে নিন ইতালির চিত্রটা। ওরাও লকডাউন অমান্য করেছিল। ওদেরও ভাল লাগত না ঘরের মধ্যে থাকতে। কিন্তু এখন কি ওদের ভালো লাগছে! যখন প্রিয়জনের লাশ শেষবারের মতো দেখতে পাচ্ছে না। শহরগুলো পরিণত হয়েছে ভুতুড়ে শহরে। তাই কয়েকদিন বন্দিজীবন মেনে নিন। ভবিষ্যতে একটা সুন্দর দিন দেখতে পাবেন।