করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ, তার মধ্যেই আবার সম্পন্ন হলো ভোট। সব মিলিয়ে দক্ষিণ ভারতের অন্যতম রাজ্য কেরল একেবারে দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে চলে গিয়েছে। সম্মুখীন হতে হয়েছে করোনার করাল গ্রাস এর। শুধু কেরল নয় পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্যগুলিও একই অবস্থার মধ্যে পড়ে রয়েছে। এবারে সেই সব রাজ্যের জন্য একটি নতুন করোনা বিধি নিয়ে হাজির হয়েছে সমস্ত রাজ্যের নতুন নির্বাচিত সরকার। একে একে সমস্ত রাজ্যের কঠোর নিয়ন্ত্রণ বিধি চালু হচ্ছে করোনাভাইরাস সর্তকতা নেওয়ার জন্য।
যেখানে পশ্চিমবঙ্গে লোকাল ট্রেনের মত সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই একই জায়গায়, কেরলে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবনির্বাচিত ভিজয়ানের সরকার। বৃহস্পতিবার কিরণ সরকার জানিয়ে দিয়েছে আগামী ৮ মে সকালবেলা ৬টা থেকে রাজ্যব্যাপী লকডাউন চালু করা হবে এবং এই লকডাউন চলবে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত।
তবে এই প্রথম নয়, করোনাভাইরাস এর সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য কেরলে এর আগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল অফিসে হাজিরা এবং পথে ঘোরাফেরার উপরে। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় এবার সম্পূর্ণ লকডাউন এর পথে হাঁটল কেরল সরকার। দ্বিতীয় ঢেউয়ে মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের পর সব থেকে খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছে কেরলের। কেরলে মোটামুটি প্রতিদিন ৪০,০০০ এর কাছাকাছি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই এই রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৭৬ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সক্রিয় রোগী বৃদ্ধির জন্য অক্সিজেন এর চাহিদা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গিয়েছে। সাহায্য প্রার্থনা করে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কেরলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। এই লাগামছাড়া পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বর্তমানে লকডাউন একমাত্র রাস্তা। তাই কেরল সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ৯ দিনের জন্য লকডাউন করা হবে সারা রাজ্য জুড়ে।