নয়াদিল্লি: ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন (Covaxin) এবং অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ডের অনুমোদনের বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে। রবিবার (Sunday) ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর (ICMR) আশ্বাস দিয়েছে যে, এই দুটি করোনা ভাইরাস (Coronavirus) প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা আরও বেশি। বিশেষত ট্রায়াল চলাকালীন অন্যান্য ভ্যাকসিনের চেয়েও অনেক বেশি নিরাপদ ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন।
বর্তমানে মানবদেহে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলেছে কোভ্যাকসিনের। তবে সেই ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশের আগেই রবিবার ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই) অনুমোদন দিয়েছে এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের। তবে আইসিএমআর প্রধান বলরাম ভার্গব, ইন্ডিয়া টুডকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন যথাযথ বিবেচনার পরই দেওয়া হয়েছে। কোভ্যাকসিন কোভিডের নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে আরও ভাল প্রমাণিত।
কীভাবে এই ভ্যাকসিন উপলব্ধ হবে? ICMR প্রধান জানান, “ভ্যাকসিনগুলি অনুমোদন করা হয়েছে। সেগুলি মজুদ করা হয়েছে। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভ্যাকসিনের ড্রাই-রানও চলেছে, যা এখনও পর্যন্ত সফল। আমাদের সবকিছু প্রস্তুতি রয়েছে। টিকা দেওয়ার জন্যও প্রস্তুত। আগামী এক-দু’সপ্তাহের মধ্যে এই ভ্যাকসিন রোল আউট না হওয়ার কোনও কারণ আমি দেখতে পাচ্ছি না।”
ভার্গব বলেন, “কোভ্যাকসিনের প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে সুরক্ষার কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল আরও বেশি জনের উপর চলেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেই তথ্যও হাতে আসবে। তখন বিষয়গুলি খুব ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।” তবে সব ভ্যাকসিনদের মধ্যে কোভ্যাকসিনকে কেন এগিয়ে রাখছেন তিনি এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ফাইজার ভ্যাকসিন করোনভাইরাস নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কার্যকর নাও হতে পারে। কোভ্যাকসিন নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে আরও কার্যকর হবে কারণ এটি একটি সম্পূর্ণ ভাইরাসের ভ্যাকসিন। কোনও এমআরএন ভ্যাকসিন নয়। এছাড়াও ফাইজার-মর্ডানার থেকে বেশি তাপমাত্রায় (২-৮ ডিগ্রি) সংরক্ষণ করা যায়।” তবে আরও তথ্যর অপেক্ষায় রয়েছে বিজ্ঞানী এবং গবেষক মহলও।