ভারতে এলো নতুন করোনা ভাইরাস। কোভিড-১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট JN.1 দেশে প্রথমবারের মতো শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে উদ্বেগ বেড়েছে। কেরলে এই নতুন করোণা ভেরিয়ান্টের সংক্রমনের খবর পাওয়া গেলেও, সারাদেশেই এই বিষয়টা নিয়ে বর্তমানে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, JN.1 ভ্যারিয়েন্টটি আগের Omicron ভ্যারিয়েন্টের মতোই সংক্রামক। তবে, এটি আরও গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, দেশে করোনা ভাইরাসের মোট ১২৭ টি সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে, যার মধ্যে ১১১ টি ঘটনা শুধু কেরালায়। সোমবার কেরালায় কোভিড -১৯ এর ১১১ টি নতুন কেস রিপোর্ট হওয়ার পরে, মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১,৬৩৪ হয়েছে।
JN.1 ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার রোধে কেরালের স্বাস্থ্য দপ্তর পদক্ষেপ নিচ্ছে। কেরালের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বলেছেন, “JN.1 ভ্যারিয়েন্টটি একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট। কিছু মাস আগে, সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে পরীক্ষার সময় কিছু ভারতীয়ের মধ্যে এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছিল। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে কেরল সরকার এই ভ্যারিয়েন্টকে সনাক্ত করেছে। চিন্তার কোন কারণ নেই। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি মানুষকে সতর্ক থাকতে বলব, বিশেষ করে যাদের অন্যান্য গুরুতর অসুস্থতা আছে। নতুন ভ্যারিয়েন্টটি দেশের অন্যান্য অংশেও উপস্থিত রয়েছে। তবে, আমাদের শক্তিশালী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে আমাদের চিন্তা করার কোন কারণ নেই।”
আইসিএমআরের মহাপরিচালক ড. রাজীব বাহল বলেছেন, “তিরুবনন্তপুরম জেলার কারাকুলামে ৮ ডিসেম্বর আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় এই ভেরিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া গেছে। ৭৯ বছর বয়সী এক মহিলা এই সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। মহিলাটির ইনফ্লুয়েঞ্জা-সদৃশ ইনফেকশনের হালকা লক্ষণ ছিল এবং তিনি ইতিমধ্যেই একবার কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, JN.1 ভ্যারিয়েন্টটি অন্যান্য Omicron ভ্যারিয়েন্টের মতোই সংক্রামক। তবে, এটি কি আরও গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। এই ভ্যারিয়েন্টটি সম্পর্কে আরও গবেষণা প্রয়োজন।