নয়াদিল্লি: দেশে যখন করোনা পরিস্থিতি আরও বেশি করে উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে, ঠিক তখন দেশে করোনা সংক্রমণ কমছে, এমনটাও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত তিন সপ্তাহ ধরেই দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমছে৷ একই সঙ্গে কমছে করোনা সংক্রমণের হার এবং মৃতের সংখ্যাও৷ আজ, শনিবার এমনই দাবি করেছেন তিনি৷ এর পাশাপাশি সকলের কাছে যাতে দ্রুততার সঙ্গে ভ্যাকসিন পৌঁছে যায় এমন নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
আজ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা এবং প্রতিষেধক তৈরি হয়ে গেলে কীভাবে সরবরাহ, টিকা দেওয়ার ব্যবস্থার উপরে নজরদারি চালানো হবে, সেই সংক্রান্ত একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী৷ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দেন, যেভাবে নির্বাচনের সময় সরকারের সমস্ত স্তর এবং সাধারণ মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে গোটা প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হয়, ঠিক একইভাবে ভ্যাকসিন হাতে এলে তা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে৷
বৈঠকের শেষে সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ভারতে তিনটি ভ্যাকসিন ‘অ্যাডভানসড স্টেজ’-এ রয়েছে৷ তার মধ্যে দু’টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় পর্যায়ে এবং একটি তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে৷ এর পাশাপাশি অন্য দেশ থেকে ভ্যাকসিন মজুত করা থেকে শুরু করে তার সরবরাহ, নজরদারি যাতে মসৃণ ভাবে এবং ত্রুটিহীন ভাবে সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ তবে আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও কোনওরকম আত্মতুষ্টিতে না ভোগার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি৷ বিশেষত উৎসবের মরশুমে যাতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা, মাস্ক পরা, বার বার হাত ধোয়া এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়, সেটাও পরামর্শ দিয়েছেন মোদি।