ঢাকা: ভারতের পর এবার প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশেও (Bangladesh) ছাড়পত্র পেল অক্সফোর্ড (Oxford) ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা প্রতিষেধক কোভিশিল্ড। জানা গিয়েছে, প্রতিষেধকের আমদানি ও আপদকালীন অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের মেডিসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেসন ডিপার্টমেন্ট। সে দেশে ব্রেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালের আবেদনের ভিত্তিতেই অনুমোদন পেয়েছে কোভিশিল্ড।
এই বিষয়ে মেডিসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মুখপাত্র মো. আইয়ুব হোসেন জানিয়েছেন, রেজিস্ট্রেশন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই আপদকালীন ভাবে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে অক্সফোর্ডের কোভ্যাকসিন আনার জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ব্রেক্সিমকো। এছাড়া প্রতিষেধকের বিষয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শেখ হাসিনাকে। তাই সেরামের কাছ থেকে কোভিশিল্ড পাওয়ার বিষয়ে কার্যত নিশ্চিত শেখ হাসিনার দেশ। তাই সে দেশে প্রতিষেধক আমদানি ও ব্যবহারের ছাড়পত্র দিল মেডিসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
যদিও কবে এই ভ্যাকসিন হাতে পাবে বাংলাদেশ সেই নিয়েও ইতিমধ্যেই জলঘোলা হয়েছে। কারণ সেরাম কর্তা আদর পুনাওয়ালা একাধিক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, আগে ভারত টিকা পাবে। তারপর অন্য দেশে রফতানি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী একই সময়ে ভারত ও বাংলাদেশে টিকা উপলব্ধ করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হাসিনাকে। তাই সে দেশের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, যথাসময়ে করোনা টিকা পাবে বাংলাদেশ।
তিনি এ-ও জানান, দিল্লি থেকে নাকি বলা হয়েছে সেরাম কর্তার মত তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত তা ভারত সরকারের নীতি নয়। ব্রেক্সিমকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশের অনুমোদনের ৩০ দিনের মধ্যেই ভারত তেকে টিকা আসবে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ বন্ধুত্বের উপর তাঁর আস্থা আছে। যথা সময়েই টিকা আসবে। পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের করোনা ভ্যাকসিন পেতে কোনো সমস্যা হবে না। প্রথম থেকেই বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে।
শ্রিংলা বলেন, সিরাম ইনস্টিটিটিউটের সিইও যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আমাদের নজরে এসেছে। তবে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার কারণ নেই। বাংলাদেশ এই ভ্যাকসিন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাবে।