পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারত এখন সরগরম বিজেপির গরুর দুধ থেকে সোনা তৈরীর অভিনব তত্ত্ব নিয়ে। এই তত্ত্ব বোধ হয় আমেরিকা অবধি পৌঁছে গেছে। নাহলে গরু পালালো কেন? এক মাস আগে বেশ কয়েকটি গরুকে নিয়ে আসা হয়েছিল জনস্টনের ‘রোড আইল্যান্ড বিফ অ্যান্ড ভিল’ কসাইখানায়। সেখানে হঠাৎই একটি 725 কিলোগ্রাম ওজনের বাদামী রঙের গরু লাগামছাড়া হয়ে কর্মচারীদের কিছু বুঝে ওঠার আগেই পালিয়ে যায়। গরুর এহেন পলায়নের ফলে আপাতত কর্মচারীদের চাকরি নিয়ে রীতিমত টানাটানি চলছে। অপরদিকে মার্কিন পুলিশ ‘গরুখোঁজা’ করে খুঁজে চলেছে ‘ব্রাউন কাউ’-কে। তাদের এখন একটাই মন্ত্র “হোয়্যার নাউ, ব্রাউন কাউ”! এমনকি এই ট্যাগলাইনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে মার্কিন পুলিশ জানিয়েছে, বাদামী গরুটি দেখলেই তাদের যেন খবর দেওয়া হয়! এর মধ্যেই মার্কিন পুলিশের হাতে একটি ছবি এসেছে যেখানে একটি জংলা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের আকাঙ্খিত গরু এবং সেখানে একটি বোর্ডে লেখা রয়েছে, ‘সাপোর্ট আওয়ার পুলিশ’।
ইতিমধ্যেই সেই গরু দেখা দিয়েছে একজন উবের ড্রাইভারকে। উবে ড্রাইভারটি জানিয়েছেন, তিনি যাত্রী তুলতে যাচ্ছিলেন। আমেরিকার রাস্তায় ট্র্যাফিক সিগন্যালে আটকে গিয়ে অপেক্ষা করছিলেন ওই উবের ড্রাইভার। হঠাৎই তিনি দেখেন, তাঁর গাড়ির পাশে অপেক্ষারত সেই বহুলচর্চিত গরু। সিগন্যাল সবুজ হতেই উবের ড্রাইভারকে অবাক করে দিয়ে সে দিব্যি রাস্তা পার হয়ে গেল। গরু তো কি হয়েছে, মূর্খ তো নয়! তাই এহেন গরুকে খুঁজতে আপাতত তোলপাড় হয়ে গেছে আমেরিকা।
অপরদিকে গরু কসাইখানা থেকে পালিয়ে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গেছে। এতটা স্টারডম বোধ হয় সে নিজেও আশা করেনি। তবে এখনও সে গাছে উঠে যায়নি, রাস্তায় হেঁটে দিব্যি আমেরিকা ঘুরে বেড়াচ্ছে। অপরদিকে মার্কিন পুলিশ নাজেহাল হচ্ছে গরু খুঁজতে গিয়ে। আরে, গরু তো গরুই, তার সাথে কি কোনোদিন মানুষ পেরেছে!