কলকাতানিউজরাজ্য

এন্টালি থেকে কলেজ স্ট্রিট, জোর করে শাটার নামিয়ে দিচ্ছেন বামেদের ডাকা বনধের সমর্থকরা

বনধের সমর্থনে এইদিন রাস্তায় নেমেছেন বহু জন। মিছিল চলার সাথে সাথে জোর করে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে শাটার এবং বন্ধ করা হচ্ছে বাস চলাচল

Advertisement

অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয় এন্টালির মিছিলে। এন্টালি থেকে কলেজস্ট্রিট পর্যন্ত ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিলে হাঁটছে বাম-কংগ্রেস জোট। মিছিল থেকে জোর করে দোকান বন্ধ, গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা করা হয়। প্রথমে কংগ্রেসের সমর্থকরা জোর করে দোকানের শাটার বন্ধ করার চেষ্টা করেন। এর পরে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) গিয়ে বাধা দেন। মিছিলের নেতৃত্ব প্রদানকারীদের দাবি তারা কোনও রকম অশান্তির আঁচ চান না। তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

লাল শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তারা বাস বন্ধ, দোকানের শাটার নামানোর মতো কোনও কাজ করছেন না। কিন্তু সম্প্রতি এক টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরায় ধরা পড়া কিছু ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে মিছিল এগিয়ে যাওয়ার সময় জোর করে দোকানের শাটার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আটকে দেওয়া হচ্ছে বাসও।

শুক্রবার তথা আজ শহরের রাস্তায় নামানো হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। কোথাও একটূ অশান্তির আঁচ দেখলেই দ্রুত অ্যাকশন নেবেন তারা। উল্লেখ্য, বেলা বাড়তেই নিত্য যাত্রীরা পড়েছেন সমস্যায়। হাওড়া, শিয়ালদহ উভয় শাখাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে রেল অবরোধ করা হয়েছে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে মৌলালি মোড়ে ধর্মঘোটীড়া তাণ্ডব চালিয়েছেন। একই সাথে গোটা রাসাত জুড়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে টায়ার এবং খড়। বনধ সমর্থকদের বিক্ষোভের কারণে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট অবরুদ্ধ থাকে মৌলালি তথা শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তাও। পরে পুলিশ আসায় পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

লাল শিবিরের ডাকে আজ তথা শুক্রবার রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে ১২ ঘণ্টার বনধ। বামেদের ডাকা এই বনধে যোগ দিয়েছে কংগ্রেসও। বনধকে সমর্থন জানিয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার তথা গত কাল বাম ছাত্র-যুবদের ডাকা নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জ, দমননীতির প্রতিবাদে আজ রাজ্যজুড়ে বনধ কর্মসূচি পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে। যদিও নেতৃত্ব দাবি করেছেন যে, কোথাও জোর করে বনধ পালন করা হবে না। সিপিআইএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য, কোথাও জোর করে আটকানো হবে না মানুষকে বা রাস্তা। সুজন চক্রবর্তীও একইসুরে বলেছেন, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনেই বনধ পালিত হবে। তবে জায়গায় জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনাও সামনে এসেছে।

Related Articles

Back to top button