সিএএ এবং এনআরসি সহ আরও একাধিক ইস্যু এর বিরুদ্ধে ৮ ই জানুয়ারি বাম সংগঠনগুলি সারা দেশ জুড়ে ২৪ ঘন্টা বনধের ডাক দেয়। এদিন পূর্ব পরিকল্পনা মতই বামেরা মিছিল শুরু করেন এইট বি বাসস্ট্যান্ড থেকে। বামফ্রন্টের অন্যতম বিশিষ্ট নেতা বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মিছিল এইট বি বাসস্ট্যান্ড থেকে এগোলে ধর্মঘটীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল ধস্তাধস্তি হয় এবং তা আস্তে আস্তে রণক্ষেত্রের আকার নেয়।
মিছিল যে পথে এগোচ্ছিলো তার আসেপাশের সমস্ত দোকানপাট বন্ধের জন্য হুমকি দেয় মিছিলে থাকা ধর্মঘটীরা। এরপর পুলিশ এসে মিছিলে বাঁধা দিলে পুলিশের সঙ্গে ধর্মঘটীদের রণক্ষেত্র সৃষ্টি হয়। পুলিশের গাড়ি এবং বাস জ্বালিয়ে দেয় ধর্মঘটীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে র্যাফ নামানো হয়। পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে গেলে সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন : বাম-কংগ্রেস এর ‘দাদাগিরি’ বরখাস্ত করব না : মমতা
এদিন শহর কলকাতায় বনধ সেভাবে লক্ষ করা না গেলেও যাদবপুর এলাকা সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিলো। সেখানেই বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী সকালেই দাবি করেন, বনধ্ সার্বিকভাবে সফল। রাজ্য সরকার বনধ এর প্রতিরোধ করার পরও মানুষ এই বনধে সার্বিকভাবে সাড়া দিয়েছে।
যাদবপুর এলাকা সকাল থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি থাকলেও রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় ধর্মঘট সেভাবে চোখে পড়েনি। হাজরা মোড়ে অন্যান্য দিনের মতোই যান চলাচল অব্যহত ছিল। সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত বাস নজরে পড়লেও যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কম ছিল। এছাড়া বড়বাজার এলাকাতেও বনধের প্রভাব চোখে পড়ার মতো ছিল এইদিন। কংগ্রেস সমর্থকরা সমস্ত দোকানপাট বন্ধ করে দেয়।